- ৮ জন বাংলাদেশী ও একজন পাকিস্তানি নাগরিক মারা গেছেন।
- ২৭ বাংলাদেশি নাগরিককে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
- লাইবিয়ার জুয়ারা উপকূল থেকে ইউরোপের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিলো নৌকাটি ।
- নৌকাটিতে মোট ৫৩ জন ছিলো যার মধ্যে ৫২ জন যাত্রি ও একজন চালক।
- আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার তথ্যমতে ২০২৩ সালে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ গমনের চেষ্টাকালে তিন হাজারেরও বেশি অভিবাসী মৃত্যুবরণ করেছে।
লাইবিয়া হয়ে সাগরপথে ইউরোপ যাত্রাকালে তিউনিসিয়ার উপকূলে অগ্নিকাণ্ডে ঘটনায় ৯ জন অভিবাসী মারা গেছেন। এদের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশী এবং একজন পাকিস্তানি নাগরিক। এ ছাড়া ওই ঘটনায় ২৭ বাংলাদেশি নাগরিককে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে এসব তথ্য গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন। লাইবিয়ার স্থানীয় সময় সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দূতাবাসের একটি টিম তিউনিসিয়ার উপকূল এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে বাংলাদেশিদের মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।
দূতাবাসের এক কর্মকর্তা জানান, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি একটি অভিবাসী দল নৌকায় করে রাত সাড়ে ১১টায় (স্থানীয় সময়) লাইবিয়ার জুয়ারা উপকূল থেকে ইউরোপের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। যাত্রাপথে নৌকাটি তিউনিসিয়ার উপকূলে গেলে মধ্যরাত ৪টা ৩০ মিনিটে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। নৌকাটিতে মোট ৫৩ জন ছিল। এদের মধ্যে ৫২ জন যাত্রী এবং একজন ছিল নৌকার চালক।
দূতাবাসের এ কর্মকর্তা জানান, দুর্ঘটনার পর চালকসহ ৫৩ জনের মধ্যে ৪৪ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন। বাকিদের মধ্যে পাকিস্তানের ৮ জন, সিরিয়ার ৫ জন, মিসরের ৩ জন ও নৌকা চালক রয়েছেন (মিশরীয় নাগরিক)। ওই ঘটনায় নৌকায় থাকা ৯ জন যাত্রী মারা গেছেন। এদের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশি নাগরিক।
ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা এবং চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে দূতাবাস তিউনিসিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এবং আইওএমের (আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা) সঙ্গে কাজ করছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাস সংস্থার তথ্যমতে বিভিন্ন দেশের উপকূল হতে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ গমনের চেষ্টাকালে ২০২৩ সালে তিন হাজারেরও বেশি অভিবাসী মৃত্যুবরণ এবং নিখোঁজ হয়েছেন। এছাড়াও সাম্প্রতিব সময়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ অবৈধ অভিবাসনের বিষয়ে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে এবং লাইবিয়া ও তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী তাদের নজরদারি জোরদার করেছে। ফলে বর্তমানে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাত্রা অত্যন্ত বিপদজনক ও ঝুঁকিপূর্ণ।
দূতাবাসের পক্ষ থেকে সকলকে দালাল ও পাচারকারীদের প্ররোচনা-প্রতারণায় পড়ে এইরূপ জীবনের ঝুঁকি না নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে দূতাবাস। এছাড়াও লাইবিয়ায় কর্মরত এবং বসবাসরত প্রবাসীদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে তারা।