- ঘরোয়া ক্রিকেটের থেকে আইপিএলকে অগ্রাধিকার দিতে দেখা যাচ্ছে খেলোয়াড়দের ।
- ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরম্যান্স জাতীয় দলে নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি
- বিসিসিআই-এর সচিব জয় শাহের চিঠি সামর্থ্য প্রমাণ করার নির্দেশ
- ঘরোয়া ক্রিকেট ভারতীয় ক্রিকেটের মেরুদণ্ড
- জাতীয় দলের বাইরে থাকা বিশ্বাস আইয়ার, ইশান কিষান ও দীপক চাহারকে নিয়ে উদ্বেগ
- ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরম্যান্স জাতীয় দলে নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি
কেন্দ্রীয় চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের জাতীয় দলের হয়ে খেলতে হলে ঘরোয়া ক্রিকেটে তাদেরকে সামর্থ্যের ‘প্রমাণ’ দিতে হবে বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড-বিসিসিআই। অন্যান্য ঘরোয়া ক্রিকেট, বিশেষ করে লাল বলের ক্রিকেটের চেয়ে খেলোয়াড়দের আইপিএলকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ‘প্রবণতায়’ কিছুটা উদ্বিগ্নও বোর্ড।
এই সপ্তাহের শুরুর দিকে ক্রিকেটারদের কাছে লেখা চিঠিতে তাদের সতর্ক করে দিয়েছেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ। সেই চিঠি হাতে পেয়েছে বলে দাবি করেছে ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো।
বছরের পর বছর ধরে আইপিএলের সাফল্যে বোর্ড গর্বিত উল্লেখ করে চিঠিতে জয় শাহ লিখেছেন, “খেলোয়াড়দের মধ্যে একটি প্রবণতা দেখা দিতে শুরু করেছে, যা উদ্বেগের কারণ। কিছু খেলোয়াড় ঘরোয়া ক্রিকেটের চেয়ে আইপিএলকে অগ্রাধিকার দেওয়া শুরু করেছে। এই ধরনের পরিবর্তন প্রত্যাশিত ছিল না। ঘরোয়া ক্রিকেটই সবসময় মূল ভিত্তি, এর ওপর ভারতীয় ক্রিকেট দাঁড়িয়ে আছে। খেলাটির প্রতি আমাদের যে দৃষ্টিভঙ্গি, সেই জায়গা থেকে এটিকে কখনই অবমূল্যায়ন করা হয়নি।”
“ঘরোয়া ক্রিকেটই ভারতীয় ক্রিকেটের মেরুদণ্ড এবং জাতীয় দলের পাইপ লাইন হিসেবে কাজ করে। ভারতীয় ক্রিকেটের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি শুরু থেকেই পরিষ্কার ছিল- ভারতের হয়ে খেলতে আগ্রহী প্রত্যেক ক্রিকেটারকে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেদের প্রমাণ করতে হবে। ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরম্যান্স জাতীয় দলে নির্বাচনের জন্য এখনও গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি হিসেবে আছে এবং সেখানে অংশগ্রহণ না করাটা গুরুতর প্রভাব ফেলবে।”
সম্প্রতি জাতীয় দলের বাইরে থাকা বিশ্বাস আইয়ার, ইশান কিষান ও দীপক চাহারের মতো ক্রিকেটারদের রঞ্জি ট্রফিতে না খেলার পরই এলো এই চিঠি পাঠানোর খবর। বিসিসিআইয়ের চুক্তির গ্রেড ‘বি’তে আছেন শ্রেয়াস, গ্রেড ‘সি’তে কিষান। বিসিসিআই সবশেষ চুক্তি নবায়ন করার সময় চাহারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
শ্রেয়াস গত ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দলে যাওয়ার পর আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেননি। কিষান গত মে মাসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর আর খেলেননি। চাহার দীর্ঘদিন ধরে আঘাতের কারণে খেলার বাইরে আছেন।
বিসিসিআইয়ের চিঠির পরে এখন বড় প্রশ্ন হলো, জাতীয় দলে ফিরতে কী তারা ঘরোয়া ক্রিকেটে দ্রুত ফিরবেন?