- জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে স্থানান্তরিত ব্যক্তিদের ‘জলবায়ু প্রবাসি’ হিসেবে স্বীকৃতির আহ্বান
- বাংলাদেশ তিন দশক ধরে গ্রিনহাউস গ্যাসের বৃদ্ধি এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতার কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি
- বিশ্বনেতাদের ক্ষতিগ্রস্তদের এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষার জন্য সংজ্ঞা পরিবর্তনের গুরুত্ব স্বীকার করার আহ্বান
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ব্যাপকভাবে স্থানান্তরিত হওয়া মানুষদের জন্য ‘জলবায়ু প্রবাসি’ এবং ‘শরণার্থী’র সংজ্ঞা পরিবর্তন করে জাতিসংঘের সংজ্ঞার সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ। তুরস্কের আনতালিয়ায় অনুষ্ঠিত ‘আনতালিয়া ডিপ্লোম্যাটিক ফোরাম-২০২৪’-এ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এ দাবি জানান। তিনি বলেন, অনেক ছোট দ্বীপরাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশও জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণায়নের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে পরিণত হয়েছে। তিন দশক ধরে গ্রিনহাউস গ্যাসের বৃদ্ধির কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে। ফলে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকাগুলো প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন পরিবেশবিদের দীর্ঘদিনের আলোকপাত সত্ত্বেও উষ্ণায়নের মূল দায়ী ধনী দেশগুলো সমস্যা মোকাবিলায় খুব একটা উদ্যোগ নিচ্ছে না। হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্তদের ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষার জন্য জলবায়ু প্রবাসি ও শরণার্থীর সংজ্ঞা পরিবর্তন করা গুরুত্বপূর্ণ।’
অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা ও ভিয়েতনামের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্যরাও বক্তব্য রাখেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সুইজারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইগন্যাসিও ক্যাসিসের সঙ্গেও বৈঠক করেন।