- জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদন শেখ হাসিনার নেতৃত্বের জন্য চূড়ান্ত আঘাত হিসাবে দেখা হচ্ছে।
- প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন।
- আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলি শেখ হাসিনার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলি নথিভুক্ত করেছে।
- পশ্চিমা বিশ্ব সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থানের কারণে শেখ হাসিনাকে সমর্থন জানিয়েছে।
- জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদন আওয়ামী লীগের প্রচারযন্ত্রের দাবিগুলিকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
গত আগস্টের শেষের দিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে যে নৃশংসতা করা হয়েছে তার নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিছু মানুষ আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল যে এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ হিসাবে দেখা হতে পারে। তবে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বাস করতেন যে, জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরই একমাত্র সংস্থা যা এই ঘটনাগুলির নিরপেক্ষ তদন্ত করতে পারে।
সম্প্রতি প্রকাশিত জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনটি শেখ হাসিনার নেতৃত্বের জন্য একটি চূড়ান্ত আঘাত। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, হত্যা এবং সহিংসতার জন্য শেখ হাসিনার সরকার দায়ী।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো শেখ হাসিনার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলিকে নথিভুক্ত করেছে। তার ভোট কারচুপির কৌশল ছিল স্পষ্ট এবং নির্লজ্জ। গুম, গণহত্যা এবং গণগ্রেফতারের মতো ঘটনাগুলি বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় তুলেছে।
তবে, সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থানের কারণে শেখ হাসিনা পশ্চিমা বিশ্বের সমর্থন পেতেন। এমনকি তার পতনের পরও, আওয়ামী লীগের প্রচারযন্ত্র এবং ভারতীয় গণমাধ্যম প্রমাণ করতে চেয়েছে যে, জুলাইয়ের বিদ্রোহ মূলত ইসলামপন্থীদের দ্বারা সংগঠিত হয়েছিল।
কিন্তু জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদন তাদের সকল প্রচেষ্টাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, শেখ হাসিনার সরকারই এই নৃশংসতার জন্য দায়ী। এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ফেরার সম্ভাবনা প্রায় শেষ হয়ে গেছে।