আয়নাঘরের খবর

  • আয়নাঘর গোপন বন্দিশালা ও টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহার করা হতো।
  • বন্দিদের নির্যাতন ও গুমের কেন্দ্র ছিল আয়নাঘর।
  • গুম ਕਮਿਸ਼নের রিপোਰ্টে বলা হয়েছে যে অনেক আলামত ধ্বংস করা হয়েছে।
  • অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডা. মুহাম্মদ ইউনূস তিনটি আয়নাঘর পরিদর্শন করেছেন।
  • সরকার আয়নাঘরগুলো সিলগালা রাখবে এবং তদন্ত চলবে বলে জানিয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডাঃ মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকার আয়নাঘর নামের গোপন বন্দিশালাগুলি পরিদর্শন করেছেন। এই আয়নাঘরগুলি ছিল নির্যাতন এবং গুমের কেন্দ্র, যেখানে বছরের পর বছর রাজনৈতিক বিরোধীদের বন্দী রাখা হত। ছোট, আলোহীন কক্ষগুলি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছিল যে বন্দীরা বাইরের দুনিয়া সম্পর্কে কিছুই জানতে পারত না।

পরিদর্শনের সময় দেখা গেল যে বন্দিশালার অনেক আলামত মুছে ফেলা হয়েছে। দেয়াল রং করে বন্দিদের লেখা মুছে ফেলা হয়েছে, কক্ষের বিভাজন ভেঙে ফেলা হয়েছে। নির্যাতনের জন্য ব্যবহৃত সরঞ্জামের অনেক কিছুই অদৃশ্য হয়ে গেছে বা অকেজো করা হয়েছে। এমনকি সিসি ক্যামেরার ফুটেজও হারিয়ে গেছে।

গুম কমিশনও বলেছে যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলামত ধ্বংস করা হয়েছে। ভুক্তভোগীদের অনেকেই তাদের বন্দী থাকার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। কেউ গুম হয়ে কয়েক মাস কাটিয়েছেন, কেউ বছরের পর বছর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সরকার বলেছে যে আয়নাঘর সিলগালা থাকবে এবং তদন্ত চলবে, তবে এর সত্যিকারের বিচার হবে কিনা সেটাই বড় প্রশ্ন।

প্রধান উপদেষ্টার পরিদর্শনের সময় সরকার নিজেদের দেয়া প্রতিশ্রুতি রাখেনি। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমকে আয়নাঘর পরিদর্শনের সুযোগ দেয়ার কথা থাকলেও প্রধান উপদেষ্টার পরিদর্শনের সময় সেটি করা হয়নি। কেবল পছন্দমতো দুটি গণমাধ্যমকে (আলজাজিরা ও নেত্র নিউজ) এ সুযোগ দিয়েছে সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *