বিএনপির মাঠে চাপ, সরকারের आश्वासনে বিশ্বাস করতে চায় না

  • জামায়াত ইসলামীর ভিন্ন অবস্থান, আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায়
  • কেমন হবে সংস্কারের হাল, সরকারের পদক্ষেপ পর্যবেক্ষণে বিএনপি
  • দলীয় কর্মসূচি নিয়ে চাপ অব্যাহত রাখবে বিএনপি
  • সরকারের আশ্বাসে কতটা ভরসা বিএনপির?
  • সময় নিয়ে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত চাপ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত বিএনপির

বিএনপি আশ্বাস পাওয়ার পরও মাঠের কর্মসূচি নিয়ে সরকারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে চায়। কিন্তু ভিন্ন অবস্থানে জামায়াতে ইসলামী। তারা স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আগে জাতীয় নির্বাচনের জন্য সরকারের ওপর চাপ তৈরি করতে চায় না।

দুদিন ধরে আওয়ামী লীগ নেতাদের স্থাপনায় ভাঙচুরের ঘটনায় গত সোমবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপি নেতারা। সেই বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের আশ্বাস পাওয়ার কথা জানান তারা।

এর পরও বিএনপি মাঠের কর্মসূচি নিয়ে নির্বাচনের চাপ অব্যাহত রাখতে চাইছে। তাই তারা সরকারের আশ্বাসে কতটা ভরসা বা আস্থা রাখতে পারছে, এমন প্রশ্নেও আলোচনা রয়েছে রাজনীতিতে।

যদি নির্বাচন সম্পর্কিত ন্যূনতম সংস্কার করা হয়, এরপরও ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করা বেশ কঠিন বলে মত দিয়েছেন বিশ্লেষক ও লেখক মহিউদ্দিন আহমদ।

স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে করার পেছনে যুক্তি দেওয়া হচ্ছে, তৃণমূলের ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সিটি করপোরেশন পর্যন্ত, স্থানীয় সরকারের কোনো স্তরেই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নেই।

সরকার দিক থেকে এ ধরনের যুক্তি এসেছে। একই বক্তব্য তুলে ধরছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। জামায়াতে ইসলামীও একই যুক্ত দেখিয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে চায়।

এ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বিএনপিতে। দলটির নেতাদের অনেকে মনে করেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে হলে, সেই জনপ্রতিনিধিদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নতুন দল গঠনের ক্ষেত্রে তৃণমূলের ভিত্তি হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা হতে পারে।

বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী সহ দলগুলো এখন নির্বাচনের জন্য ন্যূনতম সংস্কার করার ব্যাপারে একটা অভিন্ন অবস্থানে এসেছে। সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচারবিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ ও জনপ্রশাসন, এই ছয়টি ক্ষেত্রে সংস্কারের ছয় কমিশন তাদের সুপারিশ সরকারকে দিয়েছে।

জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশনের সঙ্গে দলগুলোর এই সংলাপ থেকেই নির্বাচনের রোডম্যাপ ঠিক করা সম্ভব হবে বলে সরকার মনে করছে। দলগুলো অবশ্য এখনও রোডম্যাপ ও সংলাপের জন্য অপেক্ষার কথা বলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *