- গত বছরের চেয়ে এবার পিক সিজনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার কয়েকগুন বাড়তে পারে।
- এখনই প্রস্তুতি না নিলে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা ভাবলেই শিউরে উঠতে হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এবারের বৃষ্টিপাতের গতি-প্রকৃতি এবং আগাম পূর্বাভাসে দেখা যাচ্ছে, ডেঙ্গু পরিস্থিতি গতবারের চেয়ে এবার আরও বেশি ভয়াবহ হতে পারে। বিশেষ করে আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কা অনুযায়ী যদি এবার বর্ষায় বেশি বৃষ্টিপাত হয় এবং সময়মতো জোরালো পদক্ষেপ না নেওয়া হয়।
কীটতত্ত্ববিদরা বলছেন, এখনই যদি এডিসের বংশ বিস্তারের স্থানগুলো যথাযথ ব্যবস্থাপনায় না নেওয়া হয়, তাহলে পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেবে তা চিন্তা করলেই শিউরে উঠতে হয়। সব পরিসংখ্যানের বিশ্লেষণে এটা খুব সহজেই বলা যায়, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে এ শ্রেণির ঝুঁকিপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করার যথাযথ কারণ আছে।
এ নাজুক পরিস্থিতিতে সমন্বিত বাহক ব্যবস্থাপনার যথাযথ ব্যবহার ছাড়া আর কোনো বিকল্প আছে বলে মনে হয় না। ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার ভয়ংকর গাণিতিক বৃদ্ধির বিপরীতে যতগুলো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা আছে তার সবগুলোরই উপযুক্ত প্রয়োগ আবশ্যক। নিশ্চিত করতে হবে ক্রমবর্ধমান মশার প্রজনন ক্ষেত্রের নিয়মিত ধ্বংস ও ম্যানেজমেন্ট। এটি কঠিন কাজ হলেও সবার সমন্বিত কার্যক্রমে অসম্ভব নয়।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ডেঙ্গু মোকাবিলায় দেশের প্রতিটি এলাকায় দ্রুত সার্ভিল্যান্স, ভেক্টর কন্ট্রোল ও সুপারভিশন- এই তিনটি টিম গঠন করা উচিত। প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল ও রোগনির্ণয় কেন্দ্র ডেঙ্গু শনাক্তে কাজ করার জন্য একাধিক টিম গঠন করা জরুরি।
তবে ডেঙ্গু মোকাবিলায় ফগিং করার বিষয়টিতে নেতিবাচক হিসেবে দেখছেন কীটতত্ত¡বিদরা। তাদের ভাষ্য, সাধারণত ফগিং করা হয় বাড়ির বাইরে। ফগিংয়ের সময় মশা চলে যায় ঘরের ভেতরে। ফলে এর সুফল পাওয়া যায় না। বরং মশার প্রজনন কেন্দ্রগুলো চিহ্নিত করে উৎসেই তাদের মেরে ফেলার বিষয়টিতে গুরুত্ব দেন তারা।