ম্যাচের শেষ দিকে মুস্তাফিজের দুর্দান্ত বোলিং

  • প্রথম দুই ওভারে ২৩ রান দেন মুস্তাফিজ
  • শেষ দুই ওভারে দুটি উইকেট নিয়ে চেন্নাইকে জয় এনে দেন
  • ম্যাচের শেষ দিকে মুস্তাফিজের দুর্দান্ত বোলিং

আইপিএল-এ আরেকটি ম্যাচে মিশ্র অভিজ্ঞতা হয়েছে মুস্তাফিজুর রহমানের। আগের ম্যাচে শুরুতে দুর্দান্ত বোলিং করলেও শেষে কিছুটা খরুচে ছিলেন। এবার গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে প্রথমে রান খরচ করেও ডেথ ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করে দুটি উইকেট নিয়ে চেন্নাইকে জয় এনে দেন।

চিপকে এম চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার মুখোমুখি হয় গত আসরের দুই ফাইনালিস্ট। গত বছরের সেই ম্যাচটি বেশ জমজমাট হলেও, এদিন শিরোপাধারীদের বিপক্ষে লড়াই করতেই পারেনি গুজরাট। ২০৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় তারা হেরে যায় ৬৩ রানে।

১৪৩ রানে গুজরাটকে থামিয়ে দেওয়ার পথে ৩০ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন মুস্তাফিজ। দুটি উইকেটই পান তিনি নিজের শেষ দুই ওভারে। প্রথম দুই ওভারে ২৩ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে প্রথম দুই ওভারে ৭ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়েছিলেন মুস্তাফিজ। শেষ পর্যন্ত তার বোলিং বিশ্লেষণ ছিল ৪-০-২৯-৪।

ওই ম্যাচে ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বল হাতে পাওয়া মুস্তাফিজকে এদিন দ্রুতই আক্রমণে আনে চেন্নাই। দ্বিতীয় ওভার করতে এসে ২ চারে ১০ রান দেন বাঁহাতি এই বোলার। ঋদ্ধিমান সাহা লং অফ দিয়ে চার মেরে তাকে স্বাগত জানান। পরের তিন বলে থেকে আসে দুটি সিঙ্গেল। পঞ্চম বলটি ঋদ্ধিমানের ব্যাটের কানায় লেগে কিপার ও স্লিপ ফিল্ডারের মাঝ দিয়ে যায় বাউন্ডারিতে।

একাদশ ওভারে মুস্তাফিজের হাতে ফের বল তুলে দেয় অধিনায়ক। এবারও প্রথম বলে চার হজম করেন তিনি। চতুর্থ বলে তার করা স্লোয়ার বাউন্সারটি কিপারের মাথার ওপর দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠান ডেভিড মিলার। ওভার থেকে আসে ১৩ রান।

ডেথ ওভারে ফিরে দুর্দান্ত বোলিং করেন মুস্তাফিজ। সপ্তদশ ওভারে যখন বোলিংয়ে আসেন, ততক্ষণে অবশ্য ম্যাচ চেন্নাইয়ের মুঠোয়। ওই ওভারে স্রেফ ১ রান দিয়ে এক শিকার ধরেন তিনি। দ্বিতীয় বলে তার স্লোয়ার ডেলিভারিটি ছক্কার চেষ্টায় উড়িয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ধরা পড়েন রাশিদ খান। শেষ চার বল ডট দেন মুস্তাফিজ।

এরপর ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে রাহুল তেওয়াতিয়াকেও ফিরিয়ে দেন তিনি। পঞ্চম বলে বাউন্ডারি হজম না করলে শেষটা আরও ভালো হতো তার। মুস্তাফিজ ছাড়াও দুটি করে উইকেট নেন দীপক চাহার, তুষার দেশপান্ডে। একটি করে প্রাপ্তি ড্যারিল মিচেল ও ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে খেলা মাথিশা পাথিরানার।

দুইশর বেশি রানের পুঁজি গড়ে চেন্নাইকে জয়ের ভিত গড়ে দেন শিভাম দুবে, রাচিন রাভিন্দ্রা, রুতুরাজ গায়কোয়াড়রা। ৫ ছক্কা ও ২ চারে ২৩ বলে ৫১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন দুবে। শুরুতে তাণ্ডব চালিয়ে রাভিন্দ্রা করেন ৩ ছক্কা ও ৬ চারে ২০ বলে ৪৬ রান। আর অধিনায়ক রুতুরাজের ব্যাট থেকে আসে ১ ছক্কা ও ৫ চারে ৩৬ বলে ৪৬ রান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *