কমলাপুর রেল স্টেশনের মিজান কালোবাজারি টিকেট সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দুই দশক

  • মিজান ঢালী ২০০৩ সাল থেকে কমলাপুর রেল স্টেশনে টিকেট কালোবাজারি করছে।
  • তিনি সহজ ডটকম, সিএনএস বিডির এবং ডেফোডিল সহ একাধিক টিকেট বিক্রি সংস্থার অধীনে কাজ করেছেন।
  • মিজান তার সহযোগীদের সঙ্গে রেলের বড় কর্মকর্তাদের পরিচয়ের সূত্র ধরে কালোবাজারি করত।
  • সহজের সার্ভার রুমের অপারেটর নিউটন বিশ্বাসসহ অন্যরা তাকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করত।
  • গত ছয় মাসে তাদের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে ৯৮ লাখ টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
  • র‌্যাব বৃহস্পতিবার মিজানসহ নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

কমলাপুর রেল স্টেশনে ২০০৩ সাল থেকে দীর্ঘ দুই দশক ধরে টিকেট কালোবাজারি করে মিজান ঢালী। সিন্ডিকেট গড়ে টিকেট কালোবাজারি করার এই কার্যকলাপ এতটাই সূক্ষ্মভাবে পরিচালনা করত যে কখনওই গ্রেপ্তারের হাতে ধরা পড়েনি। তবে সম্প্রতি র‌্যাবের অভিযানে মিজানের এই সিন্ডিকেট উদঘাটন করা হয়েছে।

মিজানের কালোবাজারি চক্রে তার ভাতিজা সোহেল ঢালীসহ আরও আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা প্রতিদিন পাঁচশর বেশি টিকেট কালোবাজারি করে আসছিলেন। এবারের রোজার ঈদ ঘিরে তারা ৩ হাজারের মত টিকিট কালোবাজারে বিক্রির টার্গেট নিয়েছিলেন।

মিজান রেলের কর্মী হিসেবে পরিচয় থাকার কারণে কখনও গ্রেপ্তার হননি। তিনি সারা দেশে রেলওয়ের বড় বড় কর্মকর্তা এবং রেলের খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে জানতেন।

মিজান তার সহযোগীদের সঙ্গে রেলের বড় কর্মকর্তাদের পরিচয়ের সূত্র ধরে কালোবাজারি করতেন। সহজের সার্ভার রুমের অপারেটর নিউটন বিশ্বাসসহ অন্যরা বিভিন্নভাবে তাকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতেন।

প্রতিটি ট্রেনের ২ শতাংশ টিকেট সংরক্ষিত হিসেবে রাখা হয়। ট্রেন ছাড়ার ১২ ঘণ্টা আগে সেগুলো সার্ভারে ওপেন করে দেওয়া হয়। আর সেই খবর আগেভাগেই পেয়ে যেতেন মিজান। তার ভাতিজা সোহেল অনলাইন থেকে বা রেলস্টেশনে সহজ ডটকমের অফিসে বসে কিংবা রেলের কাউন্টারম্যানদের মাধ্যমে ওই টিকিটগুলো সংগ্রহ করে ফেলতেন।

এরপর সেগুলো চড়া দামে বিক্রি করা হত। এছাড়া কোনো টিকেটের বুকিং বাতিল হলে সেটাও সার্ভার রুম থেকে জানিয়ে দেওয়া হত মিজান সিন্ডিকেটের লোকজনকে। এভাবেই ট্রেনের টিকিটগুলো ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গায়েব হয়ে যেত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *