- অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রথম শাসক মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে গ্রেপ্তার হলেন।
- ইডি তল্লাশির জন্য ১২ জন কর্মকর্তার দল দিয়ে কেজরিওয়ালের বাসভবনে প্রবেশ করে।
- কেজরিওয়ালকে দুই ঘণ্টার তল্লাশির পর গ্রেপ্তার করা হয়।
- ইডি ৯ বার সমন পাঠিয়েছিল কিন্তু কেজরিওয়াল হাজির হননি।
- কেজরিওয়াল হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে রক্ষাকবচ চেয়েছিলেন কিন্তু দুই আদালতই তা খারিজ করে।
- আপ দলের দাবি, এটি বিজেপি সরকারের চক্রান্ত।
- কেজরিওয়াল দোষী সাব্যস্ত হননি এবং দল লড়াই করবে বলে জানিয়েছে।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল ভারতের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তিনি মদ নীতি কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) কর্তৃক গ্রেপ্তার হয়েছেন। তিনি স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে গ্রেপ্তার হওয়া প্রথম শাসক মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে চিহ্নিত হয়েছেন।
ইডি তল্লাশির জন্য ১২ জন কর্মকর্তার একটি দল দিয়ে কেজরিওয়ালের বাসভবনে প্রবেশ করে এবং তাকে অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনের অধীনে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ঘণ্টা দুয়েকের তল্লাশির পরে তার মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয় এবং রাত ৯টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আম আদমি পার্টির (AAP) প্রধান কেজরিওয়ালকে এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডি নয়টি বার সমন পাঠিয়েছিল। তবে তিনি কোনোটিতেই হাজিরা দেননি। এরপর ইডি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার বাড়িতে হানা দেয়।
কেজরিওয়ালকে সরকারি বাসভবন থেকে ইডি দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাকে শুক্রবার আদালতে হাজির করানো হবে।
কেজরিওয়াল দিল্লি হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে রক্ষাকবচ চেয়েছিলেন তবে দুই আদালতই তা খারিজ করে দেয়। এরপর ইডি তাকে গ্রেপ্তার করে।
আপ দলের দাবি, এটি বিজেপি সরকারের চক্রান্ত। দলের নেত্রী অতিশী বলেছেন, “লোকসভা নির্বাচনের ঘোষণার পর কেজরিওয়াল গ্রেপ্তার একটি চক্রান্ত। কেজরিওয়াল কেবল একজন ব্যক্তি নন, তিনি একটি চিন্তাধারা। একজন কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করে এই চিন্তাধারাকে শেষ করে দেওয়া যাবে ভাবলে ভুল হবে। কেজরিওয়াল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আছেন, ছিলেন এবং থাকবেন।”
কেজরিওয়াল এখনও দোষী সাব্যস্ত হননি এবং দল লড়াই করবে বলে জানিয়েছে।