- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা আত্মহত্যা করেন
- ছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে
- ছাত্রীরা অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্রুত স্থায়ী বহিষ্কার চেয়েছে
- শিক্ষার্থীরা সব নিপীড়নের তদন্তের প্রতিবেদন জানতে চেয়েছে
- অবন্তিকা তার ফেসবুক পোস্টে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিসহ নানা ধরনের নিপীড়নের অভিযোগ করেছেন
- সেখানেই আত্মহত্যার কথা বলেন ফাইরুজ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গাফিলতির অভিযোগ তুলে অবন্তিকার মৃত্যুর বিষয়ে দ্রুত বিচারের দাবি করেছে।
আজ সোমবার সকালে নিপীড়নের বিরুদ্ধে ব্যানার নিয়ে এই কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কর্মসূচি চলছিল।
ছাত্রনেতা ইভান তাহসিফ বলেন, ‘আমরা পড়তে এসেছি, হয়রানি হতে নয়। আমরা অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্রুত স্থায়ী বহিষ্কার চাই।’
ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী শওরিন ইরা বলেন, ‘আমরা কেন কথা বলতে ভয় পাব। আমরা সব নিপীড়নের তদন্তের প্রতিবেদন জানতে চাই।’
গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী অবন্তিকা রশিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।
অবন্তিকার বন্ধুরা বলেন, তিনি তার ফেসবুক পোস্টে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিসহ নানা ধরনের নিপীড়নের অভিযোগ করেছেন। সেখানে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের বিরুদ্ধে ছেলেটির পক্ষ নিয়ে তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগও করেছেন তিনি।
অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকও করেছে। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছে।
তারা জানিয়েছে, প্রশাসন তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখবে।