- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন।
- এ দিনটি স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতির জন্মবার্ষিকী হিসেবেও উদযাপিত হয় জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে।
- বঙ্গবন্ধুর আজীবন সংগ্রামী জীবনের অভিযাত্রা শুরু হয় কোমল বয়স থেকেই।
- তিনি ১৯৪৮ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং পরে ১৯৪৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
- ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার চূড়ান্ত সংগ্রামের আহ্বান জানান।
- তার দৃঢ়চেতা ও আপোষহীন নেতৃত্বে অনুপ্রাণিত হয়ে পুরো জাতি মুক্তিযুদ্ধে সামিল হয়।
- ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্টে বিশ্বাসঘাতকদের হাতে নিহত হন বঙ্গবন্ধু।
ছোটবেলাতেই রাজনীতি সচেতন ছিলেন সেই খোকা, যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র বিশ্ব মানচিত্রে যুক্ত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করছে রোববার বাংলাদেশ, যা সার্বভৌম বাংলাদেশের স্থপতির জন্মবার্ষিকীও।
টুঙ্গিপাড়ায় ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু। ছয় সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। প্রথম থেকেই সমাজ ও রাজনীতি সম্পর্কে সচেতন ছিলেন বঙ্গবন্ধু। কিশোর বয়স থেকেই তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেন।
পাকিস্তানের কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার কারণে গ্রেপ্তার হয়ে প্রথমবারের মতো কারাবরণ করেন ১৯৩৮ সালে। এরপর দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পথে কারাগারেই কেটেছে তার ১৪টি বছর। দুইবার মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। কিন্তু কোন কিছুই তার মনোবল ভাঙতে পারেনি।
১৯৪৮ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং পরে ১৯৪৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গঠন করে বঙ্গবন্ধু। এরপর শুরু হয় আন্দোলনের ধারা। ভাষা আন্দোলন, যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, শিক্ষা আন্দোলন, ছয়দফা আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থানের পর ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন তিনি।
স্বাধীনতার চূড়ান্ত সংগ্রামে তিনি বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেন। তার সাহসী ও আপোষহীন নেতৃত্বে এবং বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামে অনুপ্রাণিত হয়ে পুরো জাতি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়। রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্যে জন্ম নেয় বাংলাদেশ।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু খুব বেশিদিন দেশ গড়ার কাজে নিজেকে ব্যয় করতে পারেননি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাত্রিতে খুন হন বঙ্গবন্ধু।
বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে সরকারি, দলীয় ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো নানা কর্মসূচি নিয়েছে। রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। দেশের সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। টেলিভিশন ও বেতারেও বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচারিত হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও কর্মময় জীবন ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে থাকবে চিরকাল।