- সোমালি জলদস্যুরা ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জাহাজটি দখল করেছে।
- জাহাজের প্রধান কর্মকর্তা মো. আতিক উল্লাহ খান জিম্মি হয়েছেন।
- আতিকের স্ত্রীর কাছে পাঠানো অডিও বার্তায় টাকা না দিলে তাদের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
- জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে দুবাই যাচ্ছিল।
- জলদস্যুরা জাহাজটিকে সোমালিয়ায় নিয়ে যাচ্ছে।
- আতিকের পরিবার তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের কাছে আকুতি জানিয়েছে।
একটি অডিও বার্তায় আতিক বলেছেন, “এই বার্তাটা সবাইকে পৌঁছে দিয়ো। আমাদের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে নিচ্ছে। ফাইনাল কথা হচ্ছে, এখানে যদি টাকা না দেয়, আমাদের একজন একজন করে মেরে ফেলতে বলেছে। তাঁদের যত তাড়াতাড়ি টাকা দেবে, তত তাড়াতাড়ি ছাড়বে বলেছে। এই বার্তাটা সবদিকে পৌঁছে দিয়ো।”
আতিকের বাড়ি চন্দনাইশের বরকল এলাকায়। তিনি মা, স্ত্রী এবং তিন মেয়েকে নিয়ে শহরের নন্দনকাননে থাকেন। তার মা শাহানুর আকতার ছেলের চিন্তায় অস্থির। তিনি কখনো কাঁদেন, কখনো নামাজে দাঁড়িয়ে ছেলের জন্য দোয়া দেন।
শাহানুর বলেন, “মাগরিবের সময় ছেলের সঙ্গে আমার শেষ কথা হয়। তখন আতিক আমাকে বলেছে, তাদের ৫০ জন জলদস্যু ঘিরে রেখেছে। একটা কেবিনে বন্দী সবাই। তাদের সোমালিয়ায় নিয়ে যাচ্ছে। আড়াই দিনের মতো লাগবে ওখানে পৌঁছাতে। সবার জন্য দোয়া চেয়েছে আতিক।”
আতিকের স্ত্রীর মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে। তাঁর মেয়েরা বাবার জন্য কাঁদছে। ছোট মেয়েটির বয়স দেড় বছর।
শাহানুর বলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার ছেলেকে ফিরিয়ে আনার আকুতি জানাচ্ছি। তিনিও একজন মা। আমার তিনটা ছোট ছোট নাতনি। ছেলেবউ অসুস্থ।”
আতিকের স্ত্রী মিনা এখন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। স্বামীর এই বিপদের খবর শোনার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।
২০১০ সালে সোমালি জলদস্যুরা কবির গ্রুপের ‘এমভি জাহান মনি’ জাহাজটি দখল করেছিল। তিন মাস পর মুক্তিপণ দিয়ে কবির গ্রুপ জাহাজটি ফিরিয়ে আনে।