- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের ছাত্রী ফাইরুজ অবন্তিকা নামের এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন।
- ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে ফাইরুজ রশিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।
- পোস্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সহপাঠীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিসহ নানা ধরনের নিপীড়নের অভিযোগ করেন ফাইরুজ।
- একজন সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে ছেলেটির পক্ষ নিয়ে তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগও করেছেন তিনি।
- ফাইরুজের লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ মর্গে রয়েছে।
- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ওই ছাত্রী আত্মহত্যার আগে একটি নোট লিখে গেছেন।
- ফাইরুজের আত্মহত্যার খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।
- এ অবস্থায় ফাইরুজের ওই সহপাঠীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার এবং ওই সহকারী প্রক্টরকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
- মেয়েটির আত্মহত্যা এবং সহপাঠী ও সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে।
ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী কুমিল্লায় তার গ্রামের বাড়িতে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মৃত শিক্ষার্থীর নাম ফাইরুজ অবন্তিকা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের ছাত্রী ছিলেন।
শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে ফাইরুজ রশিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। ফাইরুজের কয়েকজন বন্ধু জানিয়েছেন যে, তিনি ফেসবুক পোস্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সহপাঠীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি সহ নানা ধরনের নিপীড়নের অভিযোগ করেছেন। পোস্টে একজন সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে ছেলেটির পক্ষ নিয়ে তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগও করেছেন তিনি। পোস্টে ফাইরুজ আত্মহত্যার কথাও বলেছেন।
ফাইরুজের পোস্টটি দেখে ঢাকা থেকে সহপাঠীরা তাঁকে ফোন করলে পরিবারের সদস্যরা জানান যে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। পরিবারের সদস্যরা ও কুমিল্লায় অবস্থানরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী ঘটনাস্থল থেকে ফাইরুজকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু দায়িত্বরত চিকিৎসকরা পরীক্ষা–নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ মর্গে ফাইরুজের লাশ রয়েছে। কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফিরোজ হোসেন জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ওই ছাত্রী আত্মহত্যার আগে একটি নোট লিখেছেন। পুলিশ হাসপাতাল ও ঘটনাস্থলে গেছে। তদন্ত করে মৃত্যুর কারণ উদ্ঘাটন করা হবে।
ফাইরুজের আত্মহত্যার খবর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে ফাইরুজের ওই সহপাঠীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার এবং ওই সহকারী প্রক্টরকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মেয়েটির আত্মহত্যা এবং সহপাঠী ও সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে।