- ১ জুলাই থেকে স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় নতুন নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের পেনশন সুবিধা বাতিল।
- এবার থেকে তারা সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আসবেন।
- সরকারের প্রজ্ঞাপন অনুসারে, ১ জুলাইয়ের পর যোগ দেওয়া সরকারি কর্মচারীরা সর্বজনীন পেনশনের আওতাভুক্ত হবেন।
- সরকারি কর্মচারীরা বর্তমানে জিপিএফ এবং সিপিএফে টাকা জমা রাখেন, যার বিপরীতে সরকার ১১ থেকে ১৩ শতাংশ হারে সুদ দেয়।
- স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ৪ লাখের বেশি।
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, সাধারণ বীমা করপোরেশনসহ সব করপোরেশন, পেট্রোবাংলা, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি), বিএসটিআই এই ধরনের সংস্থার মধ্যে পড়ে।
- সর্বজনীন পেনশন চারটি আলাদা কর্মসূচি (স্কিম) নিয়ে গত বছরের ১৭ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন।
- প্রগতি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মচারীদের জন্য, সমতা দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারীদের জন্য, প্রবাস শুধু প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য এবং সুরক্ষা স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য।
- সর্বজনীন পেনশনে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সুবিধাভোগীরা ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত এবং ৫০ বছরের বেশি বয়সের সুবিধাভোগীরা ১০ বছর চাঁদা দিলে আজীবন পেনশন পাবেন।
- জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই নতুন পদক্ষেপ সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচিকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা।
- ১ জুলাইয়ের পর সংস্থাগুলোতে নতুন যোগ দেওয়া কর্মকর্তাদের জন্য ‘প্রত্যয়’ নামের একটি কর্মসূচি চালুর চিন্তাভাবনা করছে কর্তৃপক্ষ।
- বর্তমানে পেনশন সুবিধা পাচ্ছেন এমন কর্মকর্তাদেরও প্রত্যয় পেনশন কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হতে পারে।
- সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য মো. গোলাম মোস্তফা বলেছেন, আগামী ১ জুলাইয়ের পর নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের জন্য ‘প্রত্যয়’ নামে একটি কর্মসূচি চালু করা হবে।
- নতুন নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের পেনশন সুবিধা কমবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে গোলাম মোস্তফা বলেছেন, ‘এটা আপেক্ষিক।’
এই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দেশের সব স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলোর চাকরিতে যেসব কর্মকর্তা বা কর্মচারী চলতি বছরের ১ জুলাইয়ের পর যোগ দেবেন, সরকার তাঁদের সর্বজনীন পেনশনের আওতাভুক্ত করল।
এই নতুন কর্মসূচিটি উজ্জীবিত করার চেষ্টা করছে সরকার, তারই অংশ হিসেবে এ দফায় নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সংস্থাগুলোতে আগামী ১ জুলাইয়ের পর যাঁরা নতুন চাকরিতে যোগ দেবেন, তাঁদের জন্য ‘প্রত্যয়’ নামের একটি কর্মসূচি চালুর চিন্তা রয়েছে কর্তৃপক্ষের।
জানা গেছে, বর্তমানে স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা যে পেনশন সুবিধার আওতাভুক্ত রয়েছেন, তাঁদেরও প্রত্যয় নামের নতুন পেনশন কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার সুযোগ রাখা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে তাঁদের বিদ্যমান পেনশনের সুবিধা সমর্পণ করতে হবে।
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য মো. গোলাম মোস্তফা বলেছেন, স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত ইত্যাদি সংস্থায় আগামী ১ জুলাইয়ের পর নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের জন্য ‘প্রত্যয়’ নামে একটি কর্মসূচি চালু করা হবে। এ জন্য বিধিমালা সংশোধনের কাজ চলছে, যা আগামী সপ্তাহে জারি হওয়ার কথা।
সংস্থাগুলোতে নতুন নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেনশন সুবিধা কমবে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে গোলাম মোস্তফা বলেছেন, ‘এটা আপেক্ষিক। তবে অনেক দিন চর্চা ও বিশ্লেষণের পরই আমরা এমন সিদ্ধান্তে এসেছি।’