- তাহসীন বাহারের মেয়র পদের নির্বাচনী প্রচারে বাধা
- সংসদ সদস্য এবং সাবেক মেয়র বাহাউদ্দিন বাহারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
- মনিরুল হক এবং নিজামউদ্দিন অভিযোগ করেছেন বাহার অনুচরদের দ্বারা হামলা
- প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা নির্বাচনে সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যবহার নিয়ে অভিযোগ
- জয়-পরাজয় নির্ধারণে প্রার্থীর ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি, সাংগঠনিক বিস্তৃতি, এবং সংখ্যালঘু ভোট প্রভাব ফেলতে পারে
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এবার মেয়র পদের প্রার্থী বাহাউদ্দিন বাহারের মেয়ে তাহসীন বাহারকে নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। মেয়ের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ার কারণে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় রিটার্নিং কর্মকর্তা তাহসীনকে প্রচারণায় অংশ নিতে নিষেধ করেছেন।
এদিকে, মেয়র পদপ্রার্থী মনিরুল হক এবং নিজামউদ্দিন কায়সার অভিযোগ করেছেন, সংসদ সদস্য বাহারের অনুচররা তাদের হোটেল, বৈঠকক্ষ এবং কর্মীর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে। তারা আরও অভিযোগ করেছেন, বাহার মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বসে নির্বাচন পরিচালনা করছেন এবং তার বলয়ের শিক্ষকরা প্রিসাইডিং এবং পোলিং কর্মকর্তার দায়িত্বে আছেন।
প্রতিদ্বন্দ্বীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নির্বাচনে সুষ্ঠুতা নিশ্চিতের জন্য যথেষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কোনো ভোটারকে বাধা দেওয়া হলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন,
- এই নির্বাচনে জাতীয় রাজনীতির প্রভাব কম থাকবে এবং স্থানীয় রাজনীতি বেশি গুরুত্ব পাবে।
- মেয়র পদের প্রার্থীদের ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি, তাদের সাংগঠনিক বিস্তৃতি এবং সংখ্যালঘু ভোটের প্রভাব নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
- সংসদ সদস্য বাহাউদ্দিন বাহার অবশ্য মেয়ের নির্বাচনী প্রচারে সরাসরি অংশ নিতে না পারলেও তার প্রভাব স্পষ্ট। তাহসীন বাহার নিজেই আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেত্রী।
প্রসঙ্গত, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী শনিবার সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত। ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৪২ হাজার ৪৫৮ জন। কেন্দ্রের সংখ্যা ১০৫।