- রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে আগুনে ৪৩ এর অধিক নিহত
- গুরুতর আহত ২২ জন, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে
- দ্বিতীয় তলার খাবারের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত
- আগুন দ্রুত ছড়ায়, তিনজনকে উদ্ধার করা হয় মৃত অবস্থায়
- আগুন লাগার পর ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে কয়েকজন আহত
- মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একের পর এক অ্যাম্বুলেন্সে আনা হচ্ছে নিহতদের
- আগুনে নিহতদের অধিকাংশই ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্টে ভুগেছেন
- গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে
- আইজিপি জানান, তার একজন সহকর্মীর কন্যা নিহত
- ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি ১২ জন আহত ভবন থেকে লাফিয়ে পড়েছেন
- আহতদের অবস্থাও খুব একটা ভালো নয়
- ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে
- ভবনে তল্লাশি চালিয়ে অচেতন অবস্থায় অনেককে উদ্ধার করা হয়
- সপ্তম তলা থেকে বাবুর্চি নিচে নামতে গিয়ে আহত হন
- আগের বছরগুলোতে রাজধানীতে তিনটি বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে
বেইলি রোডের সাততলা ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে শুরু হওয়া আগুনে ৪৩ জনেরও বেশি নিহত হয়েছে। আগুনে আরো অন্তত ২২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
আগুন লাগার কারণ এখনো নিশ্চিত না হলেও ধারণা করা হচ্ছে, ভবনের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত একটি খাবারের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছেন। তবে, ভবনের ভেতরে এখনো ধোঁয়া রয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক জানিয়েছেন, ভবনটির তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছাড়া অন্য সব তলায় রেস্তোরাঁ ছিল। এসব রেস্তোরাঁয় অনেক গ্যাস সিলিন্ডার ছিল। সেগুলো বিস্ফোরিত হয়ে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে।
আগুন লাগার পর ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্তত ১২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আগুনে নিহতদের অধিকাংশই ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্টে ভুগেছেন। তাদের শরীরে পোড়ার চিহ্ন তেমন দেখা যায়নি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একের পর এক অ্যাম্বুলেন্সে নিহতদের আনা হচ্ছে। জরুরী বিভাগের ফটকে ট্রলি প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যাতে অ্যাম্বুলেন্স থেকে রোগীদের নামানোর সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে প্রবেশ করানো যায়।
সপ্তম তলা থেকে বাবুর্চি নিচে নামতে গিয়ে আহত হয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, আগুন লাগার পর ইন্টারনেটের তার বেয়ে নিচে নামতে গিয়েছিলেন। একপর্যায়ে তার ছিঁড়ে পড়ে গিয়ে আহত হন তিনি।
আগের বছরগুলোতে রাজধানীতে তিনটি বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ২০১০ সালের নিমতলীতে রাসায়নিক গুদাম থেকে ছড়ানো আগুনে ১২৪ জন নিহত হয়। ২০১৯ সালের চুড়িহাট্টায় রাসায়নিক গুদামে আগুনে প্রাণ হারান ৭১ জন। ওই বছরেরই বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুনে ২৭ জন প্রাণ হারান।
সূত্র: প্রথম আলো