বিট কয়েনের দাম আকাশছোঁয়া

বিট কয়েনের দাম আবারও সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে। কাল বুধবার এই ক্রিপ্টোকারেন্সির দাম ৬০ হাজার ডলারে উঠে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে স্পট বিট কয়েন এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড পণ্যে বিনিয়োগ বৃদ্ধির জেরে এই মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে। মাত্র চলতি মাসেই এই দাম বেড়েছে ৪২ শতাংশ।

ফলে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসের পর সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে বিট কয়েনে। মাসের প্রথম সপ্তাহেই এই মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে, যার পরিমাণ প্রায় ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ।

এপ্রিল মাসে ক্রিপ্টোকারেন্সির সঞ্চালন কমে যাবে বলে আগে থেকেই বিনিয়োগকারীরা বিট কয়েনে দলবেঁধে বিনিয়োগ করছে। তার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ-এর বারবার সুদহার কমানোর ঘোষণায় বিনিয়োগকারীরা বেশি মুনাফার আশায় বিট কয়েনে বিনিয়োগ করছেন।

এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) চলতি বছরের শুরুতেই বিট কয়েনে ইটিএফের মাধ্যমে বিনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। এর ফলে বিনিয়োগকারীরা এখন প্রথাগত পদ্ধতিতে বিট কয়েনে বিনিয়োগ করতে পারছেন। ফলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বেড়েছে এবং দামও বেড়েছে।

কয়েনবেস গ্লোবালের মতে, তাদের এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে বিনিয়োগ আগের থেকে অনেক বেড়েছে। কয়েনগেকোর তথ্য অনুযায়ী, এই মাসেই বিট কয়েনের মূল্য দুই ট্রিলিয়ন বা দুই লাখ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে এবং গত চার মাসে তার দাম দ্বিগুণ হয়েছে।

ইটিএফের মাধ্যমে বিনিয়োগ অনুমোদনের পর অনেক প্রতিষ্ঠান এখন বিট কয়েনে বিনিয়োগ করছে। গ্রে স্কেল, ফিডেলিটি ও ব্ল্যাকরকের মতো জনপ্রিয় ইটিএফগুলিতে বিনিয়োগ বেড়েছে। গত দুই দিনে এই তিনটি ফান্ডের ১১০ মিলিয়ন বা ১১ কোটি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।

সম্প্রতি সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান ও ক্রিপ্টো-র বিনিয়োগকারী মাইক্রো স্ট্র্যাটেজি ১৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার মূল্যের তিন হাজার বিট কয়েন কিনেছে। সামাজিক মাধ্যম রেডিটও ক্রিপ্টো জগতে প্রবেশ করেছে। ফলে বিট কয়েনের সঙ্গে ইথারের দামও বেড়েছে। মাসজুড়েই ইথারের দাম ৪৭ শতাংশ বেড়ে ৩ হাজার ৩৫৩ ডলার হয়েছে। ফলে তা গত দুই বছরের সর্বোচ্চ মূল্যে পৌঁছে গেছে।