- কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে বিএনপি না থাকলেও দুইজন প্রার্থী বিএনপিপন্থি হিসেবে লড়বেন।
- সাক্কু এবং কায়সার দুই বিএনপিপন্থি প্রার্থীর মধ্যে সমর্থনের দাবি।
- আওয়ামী লীগের তাহসিন বাহার সূচনা কুমিল্লার উন্নয়নের কথা বলছেন।
- নুর-উর রহমান মাহমুদ তানিম লুটেরাজের অভিযোগ করেছেন, পরিকল্পিত শহর গড়ার কথা বলেছেন।
- ২০১১ সালে গঠিত কুমিল্লা সিটি কপোরেশনের তৃতীয় নির্বাচন ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে চারজন প্রার্থী দিনরাত এক করে ভোটারদের কাছে প্রচার করছেন। তারা বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। এতে ভোটের মাঠে জমজমাট পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
বিএনপিপন্থি দুই প্রার্থী হলেন মনিরুল হক সাক্কু এবং নিজাম উদ্দিন কায়সার। সাক্কু নিজের পূর্বের কাজের কথা তুলে ধরছেন। তিনি মেয়র থাকাকালে অনেক কাজ করেছেন, একটি মহাপরিকল্পনা তৈরি করেছেন বলে দাবি করেছেন। তিনি অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
অন্যদিকে, কায়সার বলছেন যে সরকারের এই ডামি নির্বাচন জনগণ বর্জন করছে। তবে বিএনপি তাকে পর্যবেক্ষণ করছে। তাই তৃণমূল বিএনপি নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে রয়েছে। তিনি জনগণের অংশগ্রহণে নির্বাচন আরও উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে বলে মনে করেন।
এদিকে, আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী তাহসিন বাহার সূচনা এবং নুর-উর রহমান মাহমুদ তানিমও জোর প্রচার চালাচ্ছেন। সূচনা কুমিল্লার উন্নয়নের কথা বলছেন। তিনি তার শিক্ষা এবং মেধাকে কাজে লাগিয়ে কুমিল্লাকে উন্নত করতে চান। তিনি বিশেষ করে নারীদের স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্ব দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
অন্যদিকে, তানিম কুমিল্লা সিটি করপোরেশনকে ঘিরে একটি লুটেরাজ শ্রেণি তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন যে অনেকে মেয়র নির্বাচিত হয়ে নগরবাসীর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তিনি কথায় নয়, পরিকল্পিতভাবে নগরকে সাজাবেন। তিনি তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের কথা তুলে ধরে হাতি প্রতীকের জন্য ভোট প্রার্থনা করেছেন।
৯ মার্চ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে কুমিল্লা সিটিতে মেয়র পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।