ফরচুন বরিশাল ফাইনালে উঠলেন শামীম হোসেনের ব্যাটিং উপহারে

  • রংপুরের ৭৭ রানে ৭ উইকেটে ধসের পর শামীমের অবিশ্বাস্য ব্যাটিং রংপুরকে দাঁড় করিয়েছে।
  • শামীমের সাথে সাকিব একসাথে দ্রুততম অর্ধশতকের রেকর্ড গড়েছেন (২০ বলে)।
  • শামীমের ৫৯ রানের ইনিংস রংপুরের জন্য জীবনদানী হিসেবে কাজ করেছে।
  • বরিশালের তারকা ব্যাটিং লাইনআপের সামনে ১৪৯ রান যথেষ্ট ছিল না।
  • মুশফিকুর রহিমের অপরাজিত ৪৭ রানে বরিশাল ১৮.৩ ওভারে জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছেছে।
  • শুরুতে মুশফিক বেশ কিছু ভাগ্যবান ছিলেন, কিন্তু তিনি সে সব সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন।
  • মুশফিকের সাথে সৌম্য সরকার এবং কাইল মেয়ার্স ভালো জুটি গড়েছেন।
  • ডেভিড মিলারের সাথে মুশফিক বাকি পথটা পার করেছেন।
  • রংপুরের জন্য শামীমের ইনিংসই উল্লেখযোগ্য ছিল।
  • শামীম এবং আবু হায়দার দুর্দান্ত জুটি গড়েছেন।
  • শামীম 25 রান উইকেটের পেছনে মেরেছেন।
  • ইনিংসের শেষ দুই ওভারে শামীম 37 রান নিয়েছেন।
  • শামীম তার অবিশ্বাস্য ব্যাটিং দিয়ে রংপুরকে ফাইনালের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন।
  • শেষ পর্যন্ত রংপুরের স্বপ্ন পূরণ হয়নি।

রংপুর রাইডার্সের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপের সামনে ফরচুন বরিশাল অর্ধেক কাজ প্রথম ইনিংসেই শেষ করে ফেলেছিল। ৭৭ রানে ৭ উইকেট তুলে রংপুরকে ধসের মুখে ফেলে দিয়েছিল বরিশাল। কিন্তু রংপুর পরে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল। শামীম হোসেনের অবিশ্বাস্য ব্যাটিং উপহারে রংপুর জোরদারভাবে ফিরে আসে। শামীমের সঙ্গে সাকিব আল হাসান একসাথে দ্রুততম অর্ধশতকের রেকর্ড গড়েছেন (২০ বলে)। শামীমের ২৪ বলে ৫৯ রানের অপরাজিত ইনিংসই রংপুরকে ৭ উইকেটে ১৪৯ রানের পুঁজি এনে দিয়েছিল।

কিন্তু রাতের ম্যাচে বরিশালের মতো তারকায় ঠাসা ব্যাটিং লাইন আপকে ঠেকিয়ে রাখতে ১৪৯ রান যথেষ্ট ছিল না। মুশফিকুর রহিমের ৩৮ বলে অপরাজিত ৪৭ রানের ইনিংসে ১৮.৩ই ওভারে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বরিশাল। রান তাড়ায় আরও একবার বরিশাল বুঝিয়ে দিল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিজ্ঞতা কত বড় শক্তি।

ইনিংসের শুরুতে ভাগ্যও মুশফিকের পক্ষে ছিল। ইনসাইড এজে চার, টপ এজে ছক্কার পর দুই দুইবার রান আউট থেকে রক্ষা পেয়েছেন তিনি। শুরুর চাপটা উড়িয়ে দিয়ে সৌম্যকে (১৮ বলে ২২) নিয়ে গড়েছেন ৩৭ বলে ৪৭ রানের জুটি। পরে কাইল মেয়ার্সকে (১৫ বলে ২৮) নিয়ে আরও ৫০ রান যোগ করেন ২৭ বলে। ডেভিড মিলারকে নিয়ে বাকি পথটা পাড়ি দেন মুশফিক।

রংপুরের হাত থেকে ম্যাচ ছিটকে যায় ওই জুটিতেই। মুশফিকের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৮ বলে ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় সাজানো অপরাজিত ৪৭ রান। মিলারের ব্যাট থেকে আসে ১৮ বলে অপরাজিত ২২ রান।

শামীমের সঙ্গে জুটি বেঁধে আবু হায়দার প্রথম বলেই ৩ উইকেট নেওয়া জেমস ফুলারের মাথার ওপর দিয়ে মারেন ছক্কা। দুজনের ৩১ বলে ৭২ রানের অবিশ্বাস্য জুটির শুরু সেখান থেকেই। শামীম তার অবিশ্বাস্য ব্যাটিং দিয়ে রংপুরকে ফাইনালের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। যদিও শেষ পর্যন্ত পূরণ হয়নি সেই স্বপ্ন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *