- গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে ছবি তোলার কথা বলে শাওনকে ডেকে আনা হয়েছিলো।
- তার হত্যায় পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
- হত্যাকারীরা ছুরিকাঘাত করে শাওনকে হত্যা করেছে।
- শাওনের বাবা ঘাতকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
চট্টগ্রামের চান্দগাঁও এলাকা থেকে শাওনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি ওমরগণি এমইএস কলেজের ছাত্র ছিলেন। ফটোগ্রাফি করতেন শাওন কিন্তু নিজের ক্যামেরা ছিল না। তিনি ভাড়ায় ক্যামেরা নিয়ে ছবি তুলতেন। এই ঘটনায় তার বাবা টিপু বড়ুয়া মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের মধ্যে ইমতিয়াজ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত আর আশহাদুল ক্যামেরা ছিনতাইয়ের অন্যতম পরিকল্পনাকারী।
চুক্তি অনুযায়ী শাওন কাপ্তাই রাস্তার মাথায় আসলে ইমতিয়াজ তাকে অনন্যা আবাসিক এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে আশহাদুল এবং বাহারও ছিল। ইমতিয়াজ শাওনের ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে শাওন বাধা দেয়। তখন তার মাথা, বুক এবং পায়ে ছুরিকাঘাত করা হয়। শাওনকে একটি মোটরসাইকেল অটোরিকশায় ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
গ্রেপ্তার আসামিদের কাছ থেকে ক্যামেরা, লেন্স, ফ্লাশ লাইট, ব্যাটারি, মোটরসাইকেল, অটোরিকশা এবং দুটি মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়েছে। ফেসবুক থেকে নম্বর নিয়ে আশহাদুল শাওনের সাথে যোগাযোগ করেছিল। ঘটনার পর দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে আশহাদুলকে দেখা যায়। তার তথ্যের ভিত্তিতে বাকিদের গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে।