পাকিস্তানে নতুন সরকার গঠনে পিপিপি-পিএমএল-এন সমঝোতা

  • পাকিস্তানে পিপিপি ও পিএমএল-এন জোট সরকার গঠন করবে।
  • পিএমএল-এন নেতা শাহবাজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী, পিপিপি নেতা আসিফ আলি জারদারি প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হবেন।
  • দুই দলের জোটের সঙ্গে আরও চারটি ছোট দল যোগ দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পাকিস্তানে কয়েকদিন ধরে চলা আলোচনার পর মঙ্গলবার দেশটির দুই প্রধান দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ও পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) জোট সরকার গঠনে সমঝোতায় পৌঁছেছে।

এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় পাকিস্তানে জোট সরকার গঠনই ছিল একমাত্র বিকল্প। কিন্তু নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই দেশটিতে নতুন সরকার গঠন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল।

মঙ্গলবার রাতে রাজধানী ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি জানান, ‘জাতির সর্বোত্তম স্বার্থে’ পিপিপি ও পিএমএল-এন আবারও জোট সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। তিনি জানান, নতুন এই জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন পিএমএল-এনের শাহবাজ শরিফ এবং তার বাবা আসিফ আলি জারদারি জোটের পক্ষ থেকে দেশের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হবেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিলাওয়ালের পাশেই বসে ছিলেন আসিফ জারদারি ও শাহবাজ শরিফ।

পিএমএল-এনের নেতা, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই শাহবাজ জানান, পার্লামেন্টে তাদের দুই দলের সরকার গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। এ ছাড়াও আরও কয়েকটি ছোট দল তাদের সমর্থন দেবে বলে তিনি জানান।

এবারের নির্বাচনে পাকিস্তানের জাতীয় সংসদে ৭৯টি আসন পাওয়া পিএমএল-এন বৃহত্তম দল হয়েছে। ৫৪টি আসন পাওয়া পিপিপি দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তাদের জোটে আরও চারটি ছোট দল যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।

এই সব দল মিলে জোটটি পাকিস্তানের ২৬৪ আসনের জাতীয় সংসদে সহজেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

২৪ কোটিরও বেশি জনসংখ্যার দেশ পাকিস্তান অর্থনৈতিক সংকট, উন্নয়ন শ্লথগতি ও রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতিতে ভুগছে। এ ছাড়াও দেশটিতে জঙ্গি সহিংসতাও বেড়ে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে দেশটিতে একটি স্থিতিশীল প্রশাসন ও সরকার দরকার। কিন্তু নির্বাচনের পর ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও সরকার গঠন দেরি হতে থাকায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছিল।

বিলাওয়াল ভুট্টো জানিয়েছেন, তাদের জোট যত দ্রুত সম্ভব সরকার গঠনের উদ্যোগ নেবে।

পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী ২৯ ফেব্রুয়ারি নতুন পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। ওই দিনই দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *