- বুধবার একুশে ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্মোচন করবেন ছয় ভাষায় অনুদিত ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র মোড়ক
- চাকমা, মারমা, ককবরক, গারো, কুড়মালি ও সাদরি ভাষায় বইটি অনূদিত হল
- এই অনুবাদের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক ও ভাষাগত বিকাশ ঘটবে বলে মত ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক হাকিম আরিফের
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থটি এবার চাকমা, মারমা, ককবরক, গারো, কুড়মালি ও সাদরি- ছয়টি ভাষায় অনুদিত হয়েছে।
বুধবার একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এসব প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক হাকিম আরিফ বলেন, “বুধবার বিকাল ৩ টায় এক অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ছয়টি জাতিগোষ্ঠীর ভাষায় অনুদিত গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী।”
তিনি বলেন, “এ উদ্যোগের ফলে চাকমা, মারমা, ককবরক, গারো, কুড়মালি ও সাদরি ভাষার শব্দের সংখ্যাও বেড়ে গেল এবং ভাষার প্রকাশ ক্ষমতাও বেড়ে গেল। সংশ্লিষ্ট ভাষার সঙ্গে বাংলা ভাষার যেমন মিথষ্ক্রিয়া তৈরি হবে, তেমনি বাঙালি জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মানসিক ঐক্যবন্ধনও দৃঢ় হবে।”
তিনি জানান, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট সম্প্রতি পৃথিবীর বিভিন্ন মাতৃভাষার মধ্যে সম্প্রীতি তৈরির লক্ষ্যে অনুবাদ কার্যক্রম শুরু করেছে।
“এ ধারাক্রমের একটি শুভ উদ্যোগ হিসেবে বাংলাদেশের ছয়টি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ভাষায় বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী গ্রন্থটি অনুবাদ করা একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা।”
অনুবাদের মুখবন্ধে হাকিম আরিফ বরেছেন, এই অনুবাদের মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষার ইতিহাস ও রাজনৈতিক সংস্কৃতির বয়ান ও ঘটনাপ্রবাহ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ভাষায় রূপান্তরিত হওয়ার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ভাষাটির অবয়বগত, প্রকাশগত এবং ভাবগত বিকাশ ঘটবে।
ছয়টি ভাষায় ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ অনুবাদ ব্যবস্থাপনা পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন অধ্যাপক মো. আবদুর রহিম (ইউনেসকো ও গবেষণা বিভাগ)।
সদস্যসচিব ছিলেন উপপরিচালক নিগার সুলতানা। সদস্য হিসেবে ছিলেন উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান, নাজমুন নাহার ও সংগীতা রুদ্র।