- গাজায় বেসামরিক মানুষের হত্যাকে গণহত্যা বলে নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী
- ফিলিস্তিনের জনগণের নিজস্ব রাষ্ট্র ও বাঁচার অধিকার রয়েছে বলে জানিয়েছেন
- গাজার মানুষের সাহায্য করা এবং তাদের ওপর আক্রমণ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন
- ইসরায়েলি বাহিনীর রাফাহ শহরে পরিকল্পিত আক্রমণের বিরোধিতা করেছেন
- ফিলিস্তিনের জনগণের নিজস্ব রাষ্ট্রের অধিকার থাকা উচিত বলে জানিয়েছেন
- জাতিসংঘের দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের রেজোলুশন বাস্তবায়ন হওয়া উচিত বলে মনে করেন
গাজায় বেসামরিক মানুষের ওপর চালানো হত্যাযজ্ঞকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ যে সবসময় গণহত্যার বিপক্ষে, সে কথা তুলে ধরে তিনি বলেছেন, “ফিলিস্তিনের জনগণের নিজস্ব রাষ্ট্র আর তাদের বাঁচার অধিকার রয়েছে। আমি মনে করি, এটি একটি গণহত্যা। ফলে আমরা কখনো একে সমর্থন দেব না।”
জার্মানিতে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশগ্রহণের ফাঁকে শনিবার তুর্কি সংবাদ সংস্থা আনাদোলুকে সাক্ষাৎকার দেন বাংলাদেশ সরকারপ্রধান।
তিনি বলেন, “গাজার মানুষের বাঁচার অধিকার রয়েছে। তাদের ওপর চালানোর হত্যাযজ্ঞ খুবই দুঃখজনক ঘটনা। ফলে আমাদের উচিত তাদের সাহায্য করা এবং তাদের ওপর আক্রমণ আর যুদ্ধ বন্ধ করা।”
আনাদোলু লিখেছে, অবরুদ্ধ গাজায় বাংলাদেশ সাহায্য পাঠিয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা নারী ও শিশুসহ ফিলিস্তিনের জনগণকে সমর্থন আর সাহায্য পাঠাতে বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর পরিকল্পিত অভিযান নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তেরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এমন আক্রমণকে বাংলাদেশ কখনো সমর্থন করবে না।
“ফিলিস্তিনি জনগণের তাদের নিজস্ব রাষ্ট্রের অধিকার থাকা উচিত, এর কোনো বিকল্প নেই”, বলেন তিনি।
সংঘাত বন্ধে জাতিসংঘ যে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের কথা বলেছে, সেই রেজোলুশন বাস্তবায়ন হওয়া উচিত বলেও মনে করেন শেখ হাসিনা।
আনাদোলু লিখেছে, ইসরায়েলের আক্রমণে বাস্তুচ্যুত হওয়া প্রায় ১৫ লাখ ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছে রাফায়। কিন্তু শহরটিতে আক্রমণের পরিকল্পনা করছে ইসরায়েলি বাহিনী। ওই অভিযান বা হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে অনেক দেশ।
গাজায় গণহত্যার অভিযোগ করা হয়েছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও। গত জানুয়ারিতে আদালত তেল আবিবকে গণহত্যার মত কর্মকাণ্ড বন্ধের পাশাপাশি গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদানের নিশ্চিয়তা দিতে বলেছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের পর থেকে গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েল। তাদের আক্রমণে ফিলিস্তিনের নারী ও শিশুসহ ২৮ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। উপুর্যপুরি হামলায় ধ্বংস্তূপে পরিণ হয়েছে গাজা। জীবন ধারণের প্রয়োজনীয় উপাদানের ব্যাপক সংকটে মানবেতর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
জাতিসংঘের হিসাবে, গাজার ৮৫ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎ ও ওষুধের সংকট তীব্র হয়েছে। ইসরায়েলের হামলায় গাজার ৬০ শতাংশ ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে।