পৃথিবীর সুরক্ষা ছাতা হিসেবে ওজোন স্তরের গুরুত্ব

বৈচিত্র্যময় এই পৃথিবীতে জলবায়ু প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম কারণ হচ্ছে ওজোন স্তর ক্ষয়। সূর্য থেকে আসা ক্ষতিকর অতি বেগুনি রশ্মিকে প্রতিহত করে পুথিবীকে টিকিয়ে রেখেছে ঊর্ধ্বাকাশের ওজোন স্তর।

ওজোন স্তর পুথিবীর বায়ুমন্ডলের একটি স্তর যেখানে তুলনামূলকভাবে বেশি মাত্রায় ওজোন গ্যাস থাকে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ২০ থেকে ৩০ কিলোমিটার ঊপরে অবস্থিত স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার নামক অঞ্চলে ওজোন গ্যাসের ঊপস্থিতি লক্ষ্য করা হয়। স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার অঞ্চলে ফাঁকা গোলকের মতো আবৃত করে রেখেছে। ওজোন হলো হালকা নিলাভ আশটে গন্ধযুক এক বিশেষ ধরনের গ্যাস। তিনটি অক্সিজেন পরমাণু (ঙ৩) দ্বারা গঠিত। অক্সিজেনের তুলনায় অনেক কম স্থিতিশীল এবং আরো বেশি প্রতিক্রিয়াশীল যার ফলে অন্য যোগের সাথে মিথস্ক্রিয়া করার মাধ্যমে সহজেই গঠন এবং ভাঙন ঘটাতে পারে। তরল ওজনের স্ফুটনাংক -১১২৪ক্কঈ– কঠিন ওজোনের গলনাংক -২৪৯.৭ক্কঈ ।

ফরাসি পদার্থবিদ চালর্স ফ্যব্রি এবং হেনরি বুইসন ১৯১৩ সালে ওজোন স্তর আবিষ্কার করেন। পরবর্তীতে ব্রিটিশ আবহাওয়াবিদ জিএমবি ডবসন ওজোন স্তর নিয়ে বিস্তর গবেষণা করেন। ১৯২৮ সাল থেকে ১৯৫৮ সালের মধ্যে তিনি ওজোন পর্যবেক্ষণ স্টেশনসমূহের একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করেন। অতিবেগুনি রশ্মির বিকিরণে বায়ুমন্ডলের ঊচ্চ স্তরের অক্সিজেন অণু ভেঙে গেলে ওজোন গ্যাস তৈরি হয়। এটি যুক্ত অক্সিজেনের অণুর(ঙ২) সাথে মিলিত হয়ে তিনটি অক্সিজেন পরমাণু গঠিত হয় যা ওজোন গ্যাস(ঙ৩)নামে পরিচিত।

সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে জীবজগৎকে রক্ষা করা ওজোন স্তরের প্রধান কাজ। আমরা যখন অস ভাবিক কড়া রোদে বাইরে বের হই তখনই সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির বিকিরণের মৃদু প্রভাব গুলি অনুভূত হয়। রোদ থেকে বাঁচার জন্য আমরা সাধারণত সানস্ক্রিন ব্যবহার করি। কিন্তু ভাগ্যক্রমে পৃথিবী তার নিজের সানস্ক্রিন (ওজোন লেয়ার) এর মাধ্যমে আমাদেরকে অতিবেগুনি রশ্ম্রি ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে।

ওজোন গ্যাস তৈরির জন্য একটি অপরিহার্য ঊপাদান হচ্ছে অক্সিজেন গ্যাস যা আল্ট্রাভায়োলেট বা অতিবেগুনি আলো শোষণ করে এবং সেই আলোকে পৃথিবীর পৃষ্ঠে পৌঁছাতে বাধা দেয়। অক্সিজেন গ্যাস এবং অক্সিজেনের আরেকটি রূপ এলোট্রোপ ওজোন স্তরে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান।

বেশিরভাগ বাস্তুসংস্থানগুলো ক্ষতিকর টঠ থেকে সুরক্ষার জন্য ওজোন স্তরের উপর নির্ভরশীল।অতিবেগুনি রশ্মির তরঙ্গ দৈর্ঘ্য দৃশ্যমান আলোর থেকে কম তাই মানুষের কাছে এ রশ্মি দৃশ্যমান নয়। তবে মৌমাছি সহ আরো কিছু কীটপতঙ্গএ রশ্মি দেখতে পায়।

সূর্য রশ্মির টঠ আলো আমাদের ত্বককে পোড়ানোর ক্ষমতা রাখে পাশাপাশি ত্বকের ক্যান্সার, চোখের ছানি এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করতে সক্ষম।

বায়ুমন্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার এর মধ্যে অবস্থিত অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ ও প্রতিহত করার জন্য যে প্রাকৃতিক আবরণ আছে তার ক্ষয় বা পুরত্ব দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিজ্ঞানী ফারমেন ওজোন স্তরের ক্ষয়কে ওজোন হোল নামে চিহ্নিত করেন।

১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে এন্টার্কটিকা অঞ্চলে সমীক্ষারত একদল ব্রিটিশ বিজ্ঞানী লক্ষ্য করেন যে ঊর্ধ্বাকাশে একটি বৃহৎ অংশ জুড়ে ওজোনের পরিমাণ অত্যন্ত ক্ষীণ হয়ে পড়েছে। পরবর্তী বছর গুলোতে তারা পরীক্ষা চালিয়ে দেখতে পান এই ওজোনের ঘাটতির পরিমাণ ক্রমশ ব্যাপকতর হয়ে গহŸরের সৃষ্টি করছে এটি মূলত পৃথিবীর ওজোন হোল নামে পরিচিত। ওজোন গ্যাস সৃষ্টির অপেক্ষা ধ্বংসের পরিমাণ বেশি হলে ওজোন গহ্বরের সৃষ্টি হয়। ২০০০ সালে কমেরু ও ল্যাটিন আমেরিকার দক্ষিণ প্রান্তে ওজোন ছিদ্র লক্ষ্য করা গিয়েছে যার ক্ষেত্রফল ২ কোটি ৮৫লক্ষ বর্গ কিলোমিটার।

বর্তমান শতব্দীতে পৃথিবীর পরিবেশগত অবক্ষয়ের মধ্যে অন্যতম হলো ওজোন স্তরের ক্ষয়। ওজোন স্তর ক্ষয়ের জন্য দুটি কারণ লক্ষ্য করা যায়; মানব সৃষ্ট কারণ ও প্রাকৃতিক কারণ। বেশকিছু প্রাকৃতিক কারণে ওজোন স্তর ক্ষয় হয় যেমন: আলোর বিক্রিয়ায় টঠ রশ্মির ঊপস্থিতিতে ওজোন গ্যাসের বিনাশ, নাইট্রোজেন অক্সাইড, হাইড্রোক্লোরিক এসিড, ক্লোরিন দিয়ে ওজোন গ্যাসের বিনাশ। আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত দ্বারাও প্রাকৃতিকভাবে ওজোন ধ্বংস হয়।

গবেষণা হতে দেখা যায় যে ১৯১৫ সাল থেকে মানুষের ক্রিয়া-কলাপ দ্বারা পৃথিবীকে অধ্যাসের পথে দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মানব সৃষ্ট কারণে ওজোন ক্ষয়্। আধুনিক বিশ্বে পারমানবিক বোমা আবিষ্কারের ফলে এত বেশি পরিমাণে রাসায়নিক শক্তি নির্গত হয়ে বায়ুমন্ডলে যুক্ত হচ্ছে যা বায়ুমন্ডলের নিষ্ক্রিয় নাইট্রোজেনকে অক্সিজেনের সাথে যুক্ত করে নাইট্রোজেন অক্সাইড উৎপাদন করে যা ওজোন স্তর ধ্বংসের জন্য দায়ী।

সুপারসনিক বিমান থেকে নির্গত জলীয়বাষ্প ও নাইট্রোজেন অক্সাইড সমূহ ঙ৩ গ্যাসের সাথে বিক্রিয়া ঘটিয়ে ওজোনকে বিনাশ করে। ক্লোরোফ্লোরো কার্বন( ঈঋঈ) ও ক্লোরোফ্লোরো মিথেন(ঈঋঈও) হচ্ছে প্রধান ওজোন ধ্বংসকারী গ্যাস। একটি ঈঋঈ কণা এক লক্ষের বেশি ওজোন কণাকে ধ্বংস করতে পারে। রেফ্রিজারেটর, এয়ারকন্ডিশনার, স্প্রে ক্যান, বিমানের প্রপেলার, ফোম, প্লাস্টিক তৈরি ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যবহৃত এ জাতীয় গ্যাস ধীরে ধীরে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে পৌছায়।

এখানে টঠ রশ্মির প্রভাবে প্রথমে ঈঋঈ ক্লোরিন (ঈও) পরমাণুতে পরিণত হয় এবং ওই ক্লোরিন(ঈও) ওজোন কণা সঙ্গে বিক্রিয়া ঘটিয়ে ওজোনকে ধ্বংস করে। কৃষিতে ব্যবহৃত অত্যাধিক হারে রাসায়নিক কীটনাশক বায়মন্ডলে ভারসাম্য নষ্ট করে। কৃষিতে নাইট্রোজেন ঘটিত সার নাইট্রাস অক্সাইড উৎপন্ন করে যা ওজোন ধ্বংসকারী পদার্থ। উদ্ভিদের দেহাংশ পচন ক্রিয়া এবং কৃষিজাত বজ্র পদার্থ , পশুদের জৈবমল এবং তৈলক্ষেত্র থেকে উৎপন্ন মিথেন গ্যাস ওজোন হোল ঘটাতে সাহায্য করে। মিথেন গ্যাস বায়ুমন্ডলে ওজোন অণুকে ভেঙে দেয়।

ওজোন অবক্ষয়ের ফলে পৃথিবীর জীবজগৎ মারাত্মক হুমকির মুখে। অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে ত্বক ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার, লিউকোমিয়া, চোখে ছানি সহ ্আরো জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষজন। টঠ এর প্রভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। ওজোন স্তর ক্ষয় উদ্ভিদের জন্যও ব্যাপক হুমকিস্বরূপ। সালোকসংশ্লেষণ ও বীজের অঙ্কুরোদগম ব্যাহত হবে। পাতার রং পরিবর্তন হয়ে সাদা দাগ লক্ষ্য করা যায়। টঠ-ই এর প্রভাবে ২০-২৫ শতাংশ পাতায় ক্লোরোফিলের পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে।

পর্যাপ্ত ক্লোরোফিলের অভাবে উদ্ভিদ খাদ্য তৈরীতে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। ঊায়ুমন্ডলের ওজোন বিলুপ্তির জন্য ভূপৃষ্টের তাপমাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আগামী ৪০ বছর ওজোন অবক্ষয়ের দরুন ভূপৃষ্টের ৫ থেকে ২০ ভাগ টঠ রশ্মি বেশি পতিত হবে ফলে ভূপৃষ্ঠে বিশ্ব উ্ষ্ণায়ন বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং দেখা দিবে। যার ফলে মেরু অঞ্চলে বরফ গলবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়তে শুরু করবে। স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে ওজোনের পরিমাণ হ্রাস পেলে ট্রপোস্ফিয়ারে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড এর পরিমাণ বাড়বে ফলস্বরূপ এসিড বৃষ্টির সৃষ্টি হবে। ওজোন হ্রাস নিয়ন্ত্রণ না করলে বাস্তুতন্ত্রের উৎপাদনশীলতা ও স্থায়ীত্বের ভারসাম্য বিলীন হয়ে যাবে। পরিবেশের বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও জলবাযু পরিবর্তন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করছে এই ওজোন স্তর।

বিভিন্ন জ্বালানি থেকে নিঃসৃত কার্বন ওজোন ধ্বংসের অন্যতম কারণ। পৃথিবীর ৬০ ভাগ কার্বন নিঃসরণ করে থাকে আমেরিকা, চীন, রাশিয়া, ভারত, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। ওজোন স্তর রক্ষায় এসব দেশকে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে এনে বিকল্প জ্বালানির ব্যবস্থা করতে হবে। জীবাশ্ম জ্বালানির প্রয়োগ কমিয়ে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে যেমন সূর্যশক্তি, বায়ুশক্তি, পানিশক্তির মতো নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার করতে হবে।

পৃথিবীর আজ সর্বত্রই প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েই চলেছে দৃশমান হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব। তাই আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর বাসযোগ্য সবুজ পৃথিবী রেখে যেতে হলে ওজান স্তর রক্ষায় শিল্পোন্নত দেশগুলোকে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে হবে।

ওজোন স্তর রক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হলো সিএফসি বা ক্লোরোফ্লোরো কার্বন, মিথাইল ব্রোমাইড ও নাইট্রাস অক্সাইড এর মতো ক্ষতিকারক গ্যাসগুলোর ব্যবহার রোধ করা। কার্বন মনোক্সাইড এবং নাইট্রোজেন অক্সাইড যুক্ত করে এমন ব্যক্তিগত যানবাহনের ব্যবহার হ্রাস করা। রেফ্রিজারেটর, এয়ারকন্ডিশনার, স্প্রে ক্যান এগুলোর ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে কিংবা এগুলোর বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ সিএফসি গ্যাস বায়ুমন্ডলে ছড়াতে পারে। রাসায়নিক সার তৈরীর সময় বেশ কয়েকটি গ্রিনহাউস গ্যাস তৈরী হয়। সুতরাং আমাদের কৃষিতে সারের ব্যবহার কমানো উচিত জৈব পদার্থের ব্যবহার বাড়ানো উচিত। নির্বিচারে বনভূমি উজাড় রোধ করতে হবে।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে ২০০৮ সালে ওজোন স্তরের ফাটলের পরিমাণ ছিল ২৭ মিুিলয়ন বর্গ কিলোমিটার, ২০০৬ সালে ছিল ২৫ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার, ২০০৯ সালে পরিমাণ ছিল ২৪ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার, ২০০৯ সালে এই পরিমাণটি একটু কমিয়ে আনা সম্ভব হলেও তা কিন্তু আশঙ্কার বাইরে নয়।

১৯৮৫সালে বিশ্বস্তরে সরকারগুলো ওজোন সÍর সংরক্ষনের জন্য ভিয়েনা কনভেনশন গ্রহণ করেছিল। এর দুই বছর পর ১৯৮৭ সালের ১৬ই সেপ্টেম্বর কানাডার মন্ট্রিলে ওজোন স্তন ক্ষয়ের জন্য দায়ী দ্রব্যগুলোর ব্যবহার নিষিদ্ধ বা সীমিত করার লক্ষ্যে “মন্ট্রিল প্রোটোকল” গৃহীত হয়। উক্ত দিনটি স্বরণে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ১৬ সেপ্টেম্বরকে “বিশ্ব ওজোন স্তর সুরক্ষা দিবস” হিসেবে ঘোষণা করে। মন্ট্রিল প্রোটোকলে গৃহীত চুক্তির সারমর্ম হলো ১৯৯৫ সালের মধ্যে সমস্ত উন্নত দেশগুলোকে সিএফসি ও হ্যালন গ্যাস উৎপাদন বন্ধ করতে হবে কার্বন ট্রেটাক্লোরাইড(ঈঈও) এবং ট্রাইক্লোরো ইথেন (ঈঐ,ঈঈও) এর উৎপাদন ধারাবাহিক ভাবে বন্ধ করতে হবে। ক্লোরোফ্লোরো কার্বন এর পরিবর্ত দ্রব্য হিসেবে হাইড্রোক্লোরোফ্লোরো কার্বন(ঐঈঋঈ) এবং হাইড্রোফ্লোরো কার্বন(ঐঋঈ) যৌগের ব্যবহার ২০৪০ সালের মধ্যে বন্ধ করতে হবে।

১৯৮৯ সালের ব্রিটিশ সরকার এবং টঘঙ পরিবেশ প্রোগ্রাম নামে লন্ডনে একটি সম্মেলন গঠন করে যা লন্ডন কনফারেন্স নামে পরিচিত। এ সম্মেলনে স্থির হয় যে ওজোন স্তর ধ্বংসকারী ঈঋঈ এর উৎপাদন ও ব্যবহার হ্রাস করতে হবে বিকল্প রাসায়নিক পদার্থ তৈরী করতে হবে যা ওজোন স্তরকে ধ্বংস করবে না। ঈঋঈ ৩ঊৎপাদন শতকরা ২০ ভাগ হ্রাস করতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাস যোগ্য পৃথিবী রেখে যেতে মন্ট্রিল প্রোটোকল সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন জরুরী।

ওজোন স্তর আমাদের পৃথিবীকে রক্ষা করছে তাই এটিকেও রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। মহাবিশ্ব মাঝে আমাদেও পৃথিবী একমাত্র গ্রহ যেখানে সুন্দর পরিবেশে গড়েছেন সৃষ্টিকর্তা মানুষ বসবাসের জন্য । ঝুলন্ত মহাবিশ্ব সদা চলমান।স্ব-স্ব দায়িত্ব পালনে মহাজাগতিক বস্তু সমূহের মাঝে নেই কোন অবহেলা। অসর্তকতা-অবহেলা শুধু দেখি মানুষের বেলায়। শ্রেষ্ঠ জীব মানুষের পক্ষে যা একদম মানায় না। সর্তকতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হলে জেরে ফেলতে হবে অলসতা। আসুন আমরা সতর্ক হই। যানবাহনের ধোয়া কমাই; রেফ্রিজারেটর, এয়ারকুলার সহ সকল যন্ত্রপাতি ¯স্বাস্থ্যসম্মত যথাযথভাবে ব্যবহার করি। সিএফসি গ্যাস উৎপাদন সহ্যসীমার মাঝে রাখি। সার্বিকভাবে দূষণমুক্ত পরিবেশ বজায় রাখি। সকলেই সু-স্বাস্থ্য নিয়ে বেঁচে থাকি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *