এশিয়া কাপ ফুটবলে হাইভোল্টেজ একটি ম্যাচ উপহার দিলো শনিবার রাত। যেখানে মুখোমুখি হয়েছিলো সাবেক দুই চ্যাম্পিয়ন জাপান এবং ইরান। চারবারের চ্যাম্পিয়ন জাপান এবং ইরান হলো তিনবারের চ্যাম্পিয়ন।
এই দুই সাবেক চ্যাম্পিয়ন সেমিতে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি কাতারের রাজধানী দোহার এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে। শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে এই ম্যাচে জাপানকে ২-১ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠে গেছে ইরানী ফুটবলাররা।
একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে জাপানিদের স্বপ্ন ভেঙে দেন ইরানি অধিনায়ক আলিরেজা জাহানবক্স। ৯০+৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ইরানরকে বিজয় এনে দেন তিনি।
গত ১৯ বছর জাপানের বিপক্ষে কখনো জয় পায়নি ইরান। অবশেষে ১৯ বছর পর এসে এশিয়ার ব্রাজিলখ্যাত জাপানকে হারাতে সক্ষম হলো তারা। সে সঙ্গে কোচ আমির গ্যালেনোইজের অপরাজিত থাকার রেকর্ড অক্ষুণ্ন থাকলো। গত বছর মার্চে দায়িত্ব নিয়োর পর এ নিয়ে মোট ১৬ ম্যাচ অপরাজিত গ্যালেনোইজের অধীনে থাকা দলটি।
শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে খালি হয়ে যায় ইরানের ডাগআউট। সবাই ছুটে আসে মাঠে। আলিরেজা জাহানবক্সকে হাঁটুগেড়ে মাটিতে বসে পড়েন। তাকে এসে জড়িয়ে ধরেন সতীর্থরা। কারো চোখে দেখা গেছে আনন্দাশ্রুও।
ম্যাচের শুরু থেকেই পায়ের খেলার চেয়ে শারীরিক খেলাতেই যেন মেতে ওঠে জাপান এবং ইরান। এর মধ্যেই ২৮তম মিনিটে প্রথম এগিয়ে যায় জাপান। চারজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে জাপানের হয়ে গোল করেন হিদেমাসা মোরিতা। সর্বশেষ আলিরেজা জাহানবক্সকে কাটিয়ে যখন তিনি গোল করলেন, সঙ্গে সঙ্গে যেন পুরো গ্যালারি স্তব্ধ হয়ে যায়।
নীরব গ্যালারি হঠাৎ সরব হয়ে ওঠে, যখন ইরান সমতায় ফেরে। ৫৫ মিনিটে সরদার আজমাউনের কাছ থেকে বল পেয়ে মোহাম্মদ মোহেব্বি গোল করে ইরানকে সমতায় ফেরান।
প্রথমার্ধে খেলা জাপানের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে পুরোপুরি ইরানের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। কিন্তু সমতায় ফেরার পর আর গোলই পাচ্ছিলো না ইরান। শেষ পর্যন্ত সেই মাহেন্দ্রক্ষণটি হাজির হয় ৯৪তম মিনিটে। বক্সের মধ্যে হোসেইন কেনানিকে ফাউল করেন কো ইতাকুরা। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান। স্পট কিক নিতে আসেন জাহানবক্স এবং দুর্দান্ত এক শটে সেটি জড়িয়ে দেন জাপানের জালে।
সেমিফাইনালে ইরান মুখোমুখি হবে কাতারের। যারা ১-১ গোলে ড্র থাকার পর টাইব্রেকারে উজবেকিস্তানকে ৩-২ গোলে হারিয়ে সেমিতে উঠেছে।