সোমবার (২২ জানুয়ারি) রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
সভা সূত্রে জানা যায়, আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হবে কি না, এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ সময় দলীয় প্রতীক না দেওয়ার ব্যাপারে অভিমত ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি আরও বলেন— সবার অভিমতের সঙ্গে আমি ভিন্নমত করি না।
মার্চের প্রথম সপ্তাহে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। সেই নির্বাচনটি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো উন্মুক্ত রাখতে চায় আওয়ামী লীগ। বিষয়টি নিয়ে ঢাকা পোস্টকে আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা।
এদিকে, গত ১৬ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, আগামী ১০ মার্চ পবিত্র মাহে রমজান শুরু হবে। কমিশনের অনুমোদনক্রমে রোজা শুরুর আগেই উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ভোট হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনযোগ্য হয়েছে ৪৮৫ উপজেলা পরিষদ। এর তালিকা পেয়েছি। সেই অনুযায়ী কমিশন প্রস্তুত আছে। কমিশন সিদ্ধান্ত নিলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে। এজন্য ইসি সচিবালয়ও প্রস্তুত রয়েছে।
স্থানীয় সরকার (উপজেলা) (সংশোধন) বিল-২০১৫ এ বলা হয়েছে, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দুটি ভাইস চেয়ারম্যান (সাধারণ ও সংরক্ষিত) পদের নির্বাচনের জন্য প্রার্থীকে রাজনৈতিক দল কর্তৃক মনোনীত অথবা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হবে।
আইনটি পাস হওয়ার পর ২০১৭ সালের মার্চে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে ভোট হয় উপজেলায়। তারপর থেকে সকল স্থানীয় সরকারের নির্বাচন দলীয় প্রতীকেই হচ্ছে। তবে ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদ সবার জন্য উন্মুক্ত রাখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সেই সময়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে কোনো দলীয় প্রার্থী রাখা হয়নি। তবে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থীরা নৌকা প্রতীকেই নির্বাচন করেছিল।