শেখ হাসিনার গণহত্যার প্রমাণ পাওয়া গেছে

  • জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।
  • পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসকরা এই নির্দেশের কথা প্রসিকিউশনকে জানিয়েছেন।
  • জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের মৃতদেহ সুরতহালের নির্দেশ দেয়া হয়নি।
  • শ্বাসকষ্ট কিংবা জ্বরে মারা গেছে- এই ধরনের কথা লিখতে বাধ্য করা হয়েছে শহীদদের ডেথ সার্টিফিকেটে।
  • আদালতকে জানানো হয়েছে যে মানবতাবিরোধী অপরাধের মাত্রা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে দ্রুত শহীদদের লাশ দাফন করতে বাধ্য করা হয়েছে।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় শেখ হাসিনার নির্দেশে আহতদের কোনো চিকিৎসা না দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসকরা। এই নির্দেশের ফলে আহতরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন।

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের মৃতদেহ সুরতহালের নির্দেশ দেয়া হয়নি। এমনকি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে যাওয়ার পর যারা সেখানেই শহীদ হয়েছেন, তাদের ডেথ সার্টিফিকেটে গুলোতে মারা গেছে- এই কথাটিও লিখতে দেয়া হয়নি।

আন্দোলনে শহীদের লাশ দাফন করতে যাচ্ছে জানতে পারলে রাস্তায় পুলিশ তাদের পরিবারের ওপর হামলা-আক্রমণ করেছে।

আদালতকে জানানো হয়েছে যে মানবতাবিরোধী অপরাধের মাত্রা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে দ্রুত শহীদদের লাশ দাফন করতে বাধ্য করা হয়েছে। তাই এ কারণে তাদের কোনো পোস্টমর্টেম রিপোর্ট দেয়া হয়নি।

শেখ হাসিনার এমন নির্মমতার প্রমাণসমূহ যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে যাচাই-বাছাই ও ফরেনসিক করার পর গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী মামলার প্রমাণের সাথে সম্পৃক্ত করে আদালতের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *