- পতনের ছয় মাস পার হলেও আওয়ামী লীগের কোনো অনুশোচনা বা ক্ষমা চাওয়ার লক্ষণ নেই।
- আওয়ামী লীগের ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
- দলটির নেতৃত্ব বদলের চাপ বা পরামর্শ উপেক্ষা করে এগোতে চাইছে আওয়ামী লীগ।
- গণহত্যাসহ যে সব অভিযোগ তোলা হচ্ছে, সেজন্য অনুশোচনা প্রকাশ করলে বা ক্ষমা চাইলে তাদের দলের ক্ষতি বেশি হবে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
- আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি নতুন করে সামনে এনেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।
- জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদন আওয়ামী লীগের ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব বদল নিয়ে কোনো চিন্তাভাবনা
গণ-অভ্যুত্থানের পরে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক চাপ বা পরামর্শ উপেক্ষা করেই দলের নেতৃত্বে শেখ হাসিনার পরিবর্তনের ব্যাপারে কোনো চিন্তা করছে না।
ক্ষমা চাওয়ার কোনো প্রশ্ন নেই
গণহত্যাসহ যে সব অভিযোগ তোলা হচ্ছে, সেজন্য অনুশোচনা প্রকাশ করলে বা ক্ষমা চাইলে তাদের দলের ক্ষতি বেশি হবে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
দল নিষিদ্ধের ভয়
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি নতুন করে সামনে এনেছে, যা দলের নেতাদের মধ্যে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনের ধাক্কা
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যা ও নির্বিচারে গুলির একাধিক বড় অভিযান হয়েছে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ ও তদারকিতে বলে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদনটি আওয়ামী লীগের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ
আওয়ামী লীগের ঘুরে দাঁড়ানো নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে দলটি।
বিদেশে থাকা নেতাদের ভূমিকা
বিদেশে থাকা আওয়ামী লীগের নেতারা বর্তমানে দলের কর্মসূচি দিয়ে তাদের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। তবে তৃণমূলের সঙ্গে বিদেশে থাকা নেতাদের মতপার্থক্য রয়েছে, কারণ তৃণমূলের নেতারা মনে করেন, রাজনৈতিক বিভিন্ন পক্ষের আক্রমণ ও গ্রেপ্তার আতঙ্কের মাঝে রাস্তায় কর্মসূচি পালনের কোনো সুযোগ নেই।
পরিস্থিতির বাস্তবতা
আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাদের মধ্যে এ নিয়ে ভয় কাজ করছে। তারা মনে করেন, দল নিষিদ্ধ হলে আইনগত দিক থেকে তাদের তৎপরতায় বাধা দেওয়া সহজ হবে সরকারের জন্য।