- জোবায়েরের মা-বাবার একমাত্র ছেলে ছিল জোবায়ের।
- সে অষ্টম শ্রেণিতে জিপিএ-৫ পেয়েছিল এবং বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়েছিল।
- গতকাল এক অপরিচিত নারীকে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করতে দেখে জোবায়ের বাঁচাতে এগিয়ে গেছিলেন।
- ট্রেনের ধাক্কায় জোবায়ের ও ওই নারীর মৃত্যু হয়, তবে শিশুটি বেঁচে যায়।
- জোবায়েরের মৃত্যুতে তার পরিবার স্বপ্নহীন হয়ে পড়েছে।
আমার ছেলে জোবায়ের আমাদের একমাত্র আশা ছিল। সে ভালো চাকরি করে সংসারের অভাব দূর করবে, এই স্বপ্ন দেখতাম আমরা। কিন্তু সব স্বপ্ন ভেঙে গেছে। এখন কাকে নিয়ে বাঁচব জানি না।
জোবায়ের খুব মেধাবী ছাত্র ছিল। অষ্টম শ্রেণিতে জিপিএ-৫ পেয়েছিল। বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়েছিল। সে খুব ভালো ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হতে পারত।
গতকাল সে রেললাইনের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। এক অপরিচিত নারীকে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করতে দেখে সে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ট্রেনের ধাক্কায় সে নিজেও মারা গেল।
ওই নারীর সঙ্গে তার দেড় বছরের একটি শিশুও ছিল। শিশুটি বেঁচে গেছে। কিন্তু জোবায়ের আর ফিরে আসবে না।
আমাদের সব স্বপ্ন ভেঙে গেছে। জোবায়ের ছাড়া আমরা বাঁচব কীভাবে? তার মৃত্যুতে আমরা সবাই শোকাহত।