- গোপালগঞ্জ থেকে চাঁদপুর, চাঁদপুর থেকে ফেনী অঞ্চল ১০০ বছরে মধ্যে সমুদ্রের অংশ হবে।
- ৫০ বছরেও এই পরিবর্তন হতে পারে বলে আশঙ্কা অধ্যাপক আইনুন নিশাতের।
- লবণাক্ত হবে ঢাকার চারপাশের জমি এবং রাজশাহী থেকে কিশোরগঞ্জের মধ্যাঞ্চলও।
- কামরাঙ্গীরচর বা জিঞ্জিরার উচ্চতা পাঁচ থেকে ছয় ফুট হওয়ায় এসব এলাকা পানির তলায় যেতে পারে।
- বাংলাদেশ ভারতকে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের সম্মতি দেওয়ার মধ্য দিয়ে লবণাক্ততা সমস্যার শুরু।
- নদী খননে বরাদ্দ হাজার কোটি টাকা কোনো কাজে আসবে না কারণ, খনন করার পর আবার পলি এসে কিছুদিনের মধ্যেই তা ভরাট হয়ে যায়।
বাংলাদেশের উপকূলের অনেক অঞ্চলই আগামী ১০০ বছরে সমুদ্রের অংশ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পানি সম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আইনুন নিশাতের মতে, ১০০ বছরের মধ্যে যশোর থেকে গোপালগঞ্জ, গোপালগঞ্জ থেকে চাঁদপুর ও চাঁদপুর থেকে ফেনী —এসব অঞ্চলের দক্ষিণাংশ সমুদ্রের অংশ হয়ে যাবে। তিনি এমনকি আশঙ্কা করেছেন যে, এই পরিবর্তন ৫০ বছরের মধ্যেও হয়ে যেতে পারে। এমনকি ঢাকার চারপাশের জমিও লবণাক্ত হয়ে যেতে পারে।
অধ্যাপক আইনুন নিশাতের মতে, ১০০ বছরের মধ্যে সমুদ্রের অংশ হয়ে যাবে যশোর থেকে ফেনীর দক্ষিণাঞ্চল। তিনি এমনকি আশঙ্কা করেছেন যে, এই পরিবর্তন ৫০ বছরের মধ্যেও হয়ে যেতে পারে। এমনকি ঢাকার চারপাশের জমিও লবণাক্ত হয়ে যেতে পারে।
লবণাক্ততা একটি গুরুতর সমস্যা উল্লেখ করে জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক এই বিশেষজ্ঞ বলেন, বাংলাদেশ ভারতকে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের সম্মতি দেওয়ার মধ্য দিয়ে লবণাক্ততা সমস্যার শুরু। উজান থেকে পানি আসা বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে লবণাক্ততা বাড়া শুরু হয়েছে।
সরকার নদী খননের নামে কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ করছে। এসব টাকা কোনো কাজে আসবে না বলে মনে করেন অধ্যাপক আইনুন নিশাত। কারণ, খনন করার পর আবার পলি এসে দু-এক বছরের মধ্যে তা ভরাট হয়ে যায়।